বাংলাধারা ডেস্ক »
তাজরিন ট্র্যাজেডির ৭ বছর পূর্তি আজ। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের এই পোশাক কারখানায় আগুনে ১১৬ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হন তিনশর বেশি।দেশের ইতিহাসে শতাধিক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ট্র্যাজেডি এটিই প্রথম।
নিহতদের মধ্যে ভবনের তৃতীয় তলায় ৬৯, চতুর্থ তলায় ২১, পঞ্চম তলায় ১০, পরবর্তীতে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান ১১ জন। মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৫৩ জনের মরদেহ অজ্ঞাত হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।অগ্নিকাণ্ডের পরপরই হতাহত শ্রমিকের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ দেয় সরকার ও বিজিএমইএ।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার সব সাক্ষীকে সাত বছরেও আদালতে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১২ সালে দায়ের করা এই মামলায় ২০১৫ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার পর থেকে গত চার বছরে ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৬ জনের জবানবন্দি-জেরা শেষ হয়েছে। বাকি সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে দুষছেন শ্রমিক নেতারা। আর আশুলিয়া থানা পুলিশ দায়ী করছেন রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। তার দাবি, সমন পাঠানোর পরেও সাক্ষীদের হাজির করে না পুলিশ। ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। এরপর থেকে এই পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মোট ৩৫টি তারিখ ধার্য করা হয়। এই ৩৫ দিনের মধ্যে মাত্র ৬দিন রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য হাজির করেছে।
সর্বশেষ গত ২০১৯ সালের ৭ মার্চ সাক্ষী সাভার থানার এস আই আবিদ হোসেনকে হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ। তিনি অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের মরদেহের সুরতহাল তৈরি করেছিলেন।

এদিকে, তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের ৭ বছর পূর্তিতে কারখানার সামনে ফুল দিয়ে নিহত শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও নিহতদের স্বজনরা।রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই নিশ্চিন্তপুর এলাকায় পুড়ে যাওয়া তাজরীন ফ্যাশনের সামনে জড়ো হতে থাকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শ্রমিকরা।পাশাপাশি নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়াও করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে সব ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিককে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ ও মালিক দেলোয়ার হোসেনের কঠোর শাস্তির দাবি জানান শেষে শ্রমিক নেতারা ।ঘটনার ৭ বছর পার হলেও কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে করা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ক্ষোভ জানান তারা।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম