ksrm-ads

২৫ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

তামাকপণ্য বিক্রয় সীমিত করার আহ্বান জানিয়ে ইপসার বিবৃতি

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সারাবিশ্বে মৃতের সংখ্যা বর্তমানে ২২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে । প্রাণঘাতী এ ভাইরাস মোকাবিলায় কোনো ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে তামাকপণ্যের বিক্রয় সীমিত করলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিই হ্রাসের পাশাপাশি মৃত্যুঝুঁকিও এড়াতে পারবে ধূমপায়ীরা। তাই মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের কাছে তামাকপণ্যের বিক্রয় সীমিত করার উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান ইপসা উপ পরিচালক নাছিম বানু।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সর্দি, কাশি, গলাব্যথা এবং জ্বর ইত্যাদি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। একে প্রতিরোধ করার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, হাঁচি-কাশির শিষ্ঠাচার মেনে চলাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা।

বিবৃতিতে নাছিম বানু জানান, এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুঝুঁকি প্রতিরোধে সকল ধূমপায়ীদের ধূমপান ত্যাগের অনুরোধ করছি। তামাকপণ্য তথা বিড়ি-সিগারেট, সাদা পাতা, জর্দা, গুল, ই-সিগারেট বিক্রয় সীমিত করার দাবি জানাচ্ছি। বিশেষ করে, ছোট ছোট টংয়ের দোকান, মুদির দোকানে এক শলাকা সিগারেট বিক্রয় বন্ধের জন্য প্রশাসনের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আহ্বান করছি।

তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দ্বারাই সুস্থ হয়ে উঠছে।

এই পরিস্থিতিতে ধূমপায়ীদের করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকির বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। কারণ, ধূমপান করলে এমনিতেই শ্বাসনালী ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধূমপানের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগের সমস্যা তৈরি হয়। যেহেতু এই ভাইরাসের আক্রমণে অন্যদের তুলনায় বয়স্ক এবং রোগাক্রান্তরা বেশি ঝুঁকিতে পড়েন। তাই বিশেষজ্ঞরা মতে অন্যদের তুলনায় ধূমপায়ীরা করোনা ভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন।

কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, শুধুমাত্র ধূমপানের কারণেই দেশে অনেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এবং বাড়তে পারে মৃত্যুঝুঁকি। বর্তমানে সরকারের নির্দেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, গণপরিবহন, শপিংমল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সকলকে নিজ নিজ বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। যারা ধূমপান করেন, তারা যদি বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সামনে ধূমপান করেন তবে পরিবারের অন্য সদস্যদেরকেও তিনি ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে, স্যান ফ্র্যানসিসকোর ইউভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, অধূমপায়ীদের তুলনায় করোনাভাইরাসের ধূমপায়ীদের আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি।

এছাড়া গত ১৬ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত ‘করোনাভাইরাস সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর’ নামক প্রকাশনায় করোনার ঝুঁকি কমাতে ধূমপান ত্যাগ করার জন্য সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে অন্যের শরীরে ভাইরাসটি প্রবেশ করে। এসব কারণে, অন্যের সঙ্গে এই সময়ে হাত মেলাতেও নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই অন্য কারো সঙ্গে সিগারেট শেয়ার না করার কথাও বলা হয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন