উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপের ফলে আবারও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। এর প্রভাবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী তিন দিন বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে সাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে প্রচুর মেঘ তৈরি হয়েছে। ফলে আগামী তিন-চার দিন সারা দেশে প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে। মাসের বাকি সময়জুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি থাকতে পারে।’
শনিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে— খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার ওপর দিয়ে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে এক নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।