হাসান সৈকত »
যাই যাই করেও বিদায় নিচ্ছিল না শীত। বরং মাঝে মধ্যেই নিম্নমুখী হয়ে পড়তো থার্মোমিটারে থাকা পারদ। তবে এবার নেই কোনো স্বস্তির সম্ভাবনা। হুট করেই যেন শীতের আমেজ উধাও। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই জ্বালা ধরাতে শুরু করেছে গ্রীষ্মের তাপদাহ। বাড়ির বাইরে পা রাখলেই বোধ হচ্ছে তীব্র অস্বস্তি।
অতিরিক্ত গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ঠাণ্ঠা পানীয় এনে দেয় দারুণ স্বস্তি। শীতের আবহাওয়া যেতে না যেতেই নগরীরর বিভিন্ন এলাকায় বসতে শুরু করেছে ঠাণ্ডা জুস কিংবা শরবতের দোকান। এছাড়াও দেখা যায়, রাস্তার ধারে ফুটপাতে কোনো জনসমাগম এলাকায় ভ্যান অথবা ঠেলা সাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস। আর এই গরমে মানে ভালো দামে স্বস্তা এসব জুসের দোকান যেন স্বস্তি বয়ে আনছে নগর জীবনে।
চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি এলাকায় বসেছে জুস বার নামে ঠাণ্ঠা পানীয়র দোকান। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও তীব্র গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে আবারও চালু হয়েছে এই জুস বার। স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ জসিম এবং আব্দুল হাকিমরে তত্ত্বাবধানে পরিচালিত দোকনটিতে পাওয়া যায় মিল্ক লেমন, লেমন জুস, ম্যাংগো সেক, বানানা সেকসহ আরো নানা ফলের জুস। সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় পাওয়া যায় প্রতি গ্লাস জুস। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীসহ বিভিন্ন পথচারীরা তীব্র গরমে স্বস্তি পেতে পান করেন গ্লাস ভর্তি জুস।
শুধু সিআরবি নয়, নগরীর বিভিন্ন খেলার মাঠে ভ্যান নিয়ে লেবুর শরবত বিক্রি করতে দেখা যায় দোকানীদের। নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মাঠে ভ্যানে করে প্রতিদিন শরবত বিক্রি করতে আসেন মোহাম্মদ আলমগীর। নিয়মিত প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ গ্লাস শরবত বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন এই মাঠে খেলতে আসা তরুণ ও যুবকদের পাশাপাশি শরবত পান করেন ব্যায়াম করতে আসা মধ্যবয়সীরাও।
নগরীর প্যারেড মাঠ থেকে শুরু বিভিন্ন অলিগলিতে ভ্যানে করে শরবত বিক্রি করতে দেখা যায় এসব বিক্রেতারদের।
তীব্র গরম যেন গ্রাস করে নিচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের। তবে, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের জন্যে এসব জুসের দোকান যেন এক অমৃত। এক চুমুক জুসেই যেন খুঁজে পায় শান্তির ছোঁয়া।
এসব জুস আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। এর মধ্যে অর্জুন ও আমলকির জুস হার্টের জন্য দারুণ উপকারি। এই জুস হার্ট সুস্থ রাখে, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফলের জুস অতুলনীয়। আমলায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। এক একটি আমলকিতে প্রায় ৬০০-৭০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ থাকে, যা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও ফলের জুস বিশেষভাবে অবদান রাখে। বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো পেটের সমস্যা মোকাবেলায় আমলকি অর্জুন জুস যেন ঔষধের মতো কাজ করে ।
আমরা রোজ যা খাই তার প্রভাব ত্বকেও দেখা দেয়। আর পেঁপে এবং গাজরের জুস উজ্জ্বল এবং মসৃণ ত্বক পেতে আমাদের গভীর ভাবে সাহায্য করে।
বাংলাধারা/এআই