থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করা হয়েছে। বুধবার দেশটির সাংবিধানিক আদালত তাকে পদচ্যুতির রায় প্রদান করেছে। একই সাথে, তার মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপি
সাংবিধানিক আদালত স্রেথার বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত আইনজীবী পিচিট চুয়েনবানকে মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে রায় দিয়েছে। আদালত এই নিয়োগকে ‘নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘন’ হিসেবে বিবেচনা করেছে।
আদালতের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে চারজন স্রেথার পদচ্যুতির পক্ষে রায় দিয়েছেন। ফেউ থাই পার্টির তিনজন সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ হারিয়েছেন।
পদচ্যুতির পর সাংবাদিকদের স্রেথা বলেছেন, ‘আমি আদালতের রায়কে সম্মান করি। তবে আমি আবারও বলছি, যে সময়টা আমি ক্ষমতায় ছিলাম, সৎভাবেই দেশ পরিচালনার চেষ্টা করেছি।’
এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানো স্রেথার ঘটনায় থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন করে উসকে উঠতে পারে। দেশটি দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভুগছে, যেখানে সেনাবাহিনী, রাজতন্ত্রের অনুগত দল ও প্রগতিশীল দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বারবার সামরিক অভ্যুত্থান এবং বড় বড় বিক্ষোভ ঘটে।