বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারিদের দমনে নিজের অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া কক্সবাজার সদরের কাছের ইউনিয়ন পিএমখালীর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে থানা কম্পাউন্ড থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুস্ময় দাশ গুপ্ত বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হওয়া এ মামলায় ৩৪ জনকে এজাহারনামীয় ছাড়াও আরও অজ্ঞাত ৬০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় চেয়ারম্যান আবদুল্লাহসহ ৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন।
চেয়ারম্যান ছাড়া গ্রেফতার হওয়া অন্য তিনজন হলেন, পিএমখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছনখোলা এলাকার আমির হামজার ছেলে মুবিনুল হক (৪০), আবুল কাশেমের ছেলে জয়নাল (৩০) ও আমির সুলতানের ছেলে নুরুল আজিম (৩০)।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত পুলিশ মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সেনাবাহিনী নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চেয়ারম্যান আবদুল্লাহকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অস্ত্র ব্যবহার ও মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ তোলা হয়।
গ্রেফতারের পর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাকে থানায় আনার পর শত শত সমর্থক নামধারী লোক হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
কক্সবাজার আদালতের দায়িত্বশীল পুলিশ পরিদর্শক (কোট ইন্সপেক্টর) মো. গোলাম জিলানী বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহসহ গ্রেফতারকৃত চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।