বিশ্বকাপ জিততে ৩০ বলে ঠিক ৩০ রান প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার, হাতে ছিল ৬টি উইকেট। ক্রিজে ছিলেন ভারতীয় স্পিনারদের ‘খুন’ করতে থাকা হেনড্রিক্স ক্লাসেন ও সেট হয়ে যাওয়া ডেভিড মিলার। তবুও সেখান থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা! দক্ষিণ আফ্রিকা বলেই হয়ত!
জাসপ্রিত বুমরাহ ও আর্শদ্বীপ সিংয়ের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপক্ষে ৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি প্রোটিয়ারা। যাতে হারতে হারতে স্বপ্নের শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ৭ রানের ব্যবধানে জিতেছে ভারত।
২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের দেখা পেল ভারত। গত বছর ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। কিন্তু ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে কেঁদেছিল পুরো ভারত। ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই একটা ম্যাচই হেরেছিল ভারত। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো রোহিত শর্মার দল।
শনিবার (২৯ জুন) বার্বাডোজে ভারতের বোলিং ইনিংসের সূচনাটা হয়েছিল দুর্দান্ত। দ্বিতীয় ওভারে রেজা হেনড্রিক্সকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জাসপ্রিত বুমরাহ। পরের ওভারে আর্শদ্বীপ সিং এইডেন মার্করামকে ফেরালে চাপে পর যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টার্ন স্টাবস। ৩৮ বলে ৫৮ রান তোলেন দুজন।
চারে নেমে পাল্টা আক্রমণ করেন স্টাবস। অক্ষর প্যাটেলকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে ২১ বলে ৩টি চার ১টি ছয়ে ৩১ রান করেন তিনি। এরপর দ্রুত রান তোলার দায়িত্বটা কাঁধে নিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু আর্শদ্বীপ সিংকে পরপর দুই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফিরেছেন ফিফটির আগেই। ৩১ বলে ৪টি চার ১টি ছয়ে ৩৯ রান করে ফিরেছেন ডি কক।
এরপর ভারতীয় স্পিনারদের রীতিমতো কচুকাটা করে ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকার হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন হেনড্রিক্স ক্লাসেন। ১৪তম ওভারে কুলদ্বীপ যাদবের এক ওভার থেকে ১৪ রান তুলে নেওয়ার পর ১৫তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের ওভার থেকে তুলে নেন ২৪ রান!
ক্লাসেন পরপর দুই ওভারের ঝড়ে এরপর ফাইনাল জিততে ৩০ বলে ঠিক ৩০ রান লাগত দক্ষিণ আফ্রিকার। হাতে ছিল ক্লাসেন, ডেভিড মিলারসহ ৬টি উইকেট। তবুও ম্যাচ জিততে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা!