ksrm-ads

১৭ মে ২০২৫

ksrm-ads

দুর্নীতি কমাতে হলে সমাজকে পরিবর্তন করা দরকার : আশিক চৌধুরী

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন,আমাদের একার পক্ষে দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব না। এটা সমাজকে পরিবর্তন এবং পরিচালনা করতে হবে। আমাদেরকে ছোট ছোট কিছু ‘নার্স’ করে এগুলো ঠিক করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে পতেঙ্গা লালদিয়া টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের দুর্নীতি ও অনিয়ম বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন বিডা ও বেজা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আপনারা যে কনসার্ন গুলো রেস করছেন এগুলো ভেলিড কনসার্ন। এসব সংস্কারের প্রসেসের ভিতর দিয়ে আমরা যাচ্ছি। যে চ্যালেঞ্জটা আমি ‘পারসনালি’ মনে করি সেটা হচ্ছে আমরা তিনটা চারটা মানুষ যদি মনে করি আমরা সব ঠিক করে ফেলবো এটা কোনোদিন হয় না। যেমন আমি কাস্টমস এর কথা বলি বা বন্দরের কথা বলি, লিডারশিপ লেভেলে গিয়ে দেখবেন যে তাদের ‘ইন্টেনশন’ নিয়ে কোনো অভাব নেই কিন্তু আপনি গ্রাউন্ড লেভেলে দেখবেন যে এর কিছুই হচ্ছে না।

আমরা বলি যে প্রধান উপদেষ্টা অনেক কথাই বলেন উনি চান যে ‘করাপশন’ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাক। কিন্তু উনি ওনার একার পক্ষে বা আমার একার পক্ষে করাপশন বন্ধ করা সম্ভব না। এটা সমাজকে পরিবর্তন এবং পরিচালনা করতে হবে আমাদেরকে ছোট ছোট কিছু নার্স করে এগুলো ঠিক করতে হবে।

এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন , “যেটা নিয়ে আমি ইন্টারেস্টটেড আজকের প্রজেক্ট আমি যে কারণে ভিজিট করতে এসেছি সেটা হচ্ছে যে, আমার ধারণা হচ্ছে যে যখন একটা ওয়ার্ল্ডের ‘ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট পোর্ট অপারেটরস যখন বাংলাদেশে এসে অপারেট করা শুরু করবে তখন তারা নিজের রেপুটেশনের জন্য সেগুলা তখন তারা ঠিক করা শুরু করবে।”

এর আগে সকালে পতেঙ্গা লালদিয়া টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন শেষে বে টার্মিনালে যান তিনি। এরপর বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।

পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, বে টার্মিনালে ২৫ হাজার লোকের যদি কর্মসংস্থান হয়, তাদের সাথে ২৫ হাজার ফ্যামিলি। তার মানে আমরা তো ইজিলি বলছি, এক লাখ লোক এ এলাকায় এসে থাকা শুরু করবে, এই এলাকায় কাজ করবে। তাদের বাসস্থান, তাদের চিকিৎসা, তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা এবং তাদের যে শিক্ষা, তাদের ফ্যামিলির এডুকেশনের যে পার্টটা, এই পুরা এই প্ল্যানিংটাও আমাদের ওভারঅল পিকচারের মধ্যে নিয়ে আসা উচিত।

আমাদের গ্লোবাল ফ্যাক্টরি হতে হবে। বে টার্মিনাল চট্টগ্রাম এলাকার সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এটা ফ্লাগশিপ প্রকল্প। এটা যখন হয়ে যাবে, তখন এই এলাকার চেহারা আমরা আশা করছি কমপ্লিটলি চেঞ্জ হয়ে যাবে’।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে আমরা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ফান্ডিংয়ে কিছু কাজ করছি। সরকার থেকে কিছু ফাইন্যান্সিং হচ্ছে। যেটা ব্রেক ওয়াটার হবে, সেটা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ফান্ডিংয়ে হবে। আর সেই সাথে এডিবি আমাদের সাথে কাজ করছে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন