রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মা ও শিশুসন্তানসহ চার যাত্রী মারা গেছেন। তারা হলেন- নাদিয়া আক্তার পপি (৩৫) ও তার শিশুসন্তান ইয়াসিন (৩)। অন্য দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে ট্রেনটিতে আগুন দেয় দুর্বত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে চারজন মারা যান। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার পরিদর্শক মো. ফেরদৌস বলেন, তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঘটনাস্থলেই চারজন মারা গেছেন। তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নাদিয়া ও তার শিশুসন্তান ছাড়া অন্য দুজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। নাদিয়ার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তার বাবার নাম ফজলুর রহমান। তেজগাঁও তেজকুনিপাড়ায় স্বামী মিজানুর রহমানের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
গত ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বনখরিয়া এলাকায় রেললাইনে নাশকতা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় আসলাম মিয়া (৪৫) নামে একজন নিহত হন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে।
এ ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়াসহ চার আসামির প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য তিন আসামি হলেন- সাইদুল ইসলাম, জুলকারনাইন হৃদয় ও সোহেল রানা।