ksrm-ads

১৩ জুন ২০২৫

ksrm-ads

দু’শত আবেদনকারিকে ডেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তুলে দিলেন পুলিশ সুপার

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার»

দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা প্রথা ভেঙ্গে দু’শতাধিক আবেদনকারিদের ডেকে নিজ হাতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বিতরণ করলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান।সোমবার (২১ মার্চ) পুলিশ সুপারের কার্যালয় মাঠে পূর্বে আবেদনকারিদের ডেকে সারিবদ্ধভাবে নিজ হাতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ বিতরণ করেন এসপি।

এসময় তিনি বলেন, পাসপোর্ট বা বিদেশ যেতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দরকার। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে ভালো-মন্দ সনদ পাওয়া নৈতিক অধিকার। এটি পেতে কোন পুলিশ সদস্য টাকা দাবি করলে কিংবা হয়রানী করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসপি আরও বলেন, কারো কোন অভিযোগ বা সহযোগীতা লাগলে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার পর জেলার ৯টি থানায় গ্রাহকরা সরাসরি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের এই সেবা পাবেন বলেও উল্লেখ করেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

এদিকে, স্বল্প সময়ে ও খুব সহজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হাতে পেয়ে বেজায় খুশি আবেদনকারিরা।

চকরিয়ার হালকাকারা এলাকার এক আবেদনকারি নাম প্রকাশ না করে বলেন, আমার বড় ভাই বিদেশ যাবার কালে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করে এখানে ওখানে দৌড়ে কাঠখড় পুড়িয়ে তা হাতে পেয়েছিলেন। আমার যাবার কথা যখন চলছিল তখন আমিও পুরোনো ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে এগুচ্ছিলাম। এক দালালকেও হাত করেছিলাম কিন্তু এভাবে পুলিশ সুপার মহোদয় ডেকে সনদ দিয়ে দিবেন বুঝতেই পারিনি। এ ধারা চালু থাকলে বিদেশগামীরা ভোগান্তিহীন সেবা পাবে। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি বাড়বে।

সূত্র জানায়, ৫০০ টাকা সরকারি ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করা হয়। স্ব স্ব থানা এলাকায় আবেদনকারির তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে তার ব্যাপারে সনদই হলো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স। মামলায় অভিযুক্ত থাকলে তার তথ্যসহ দেয়া হয়। আগে এ ক্লিয়ারেন্স পেতে আবেদনকারিকে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা বিভিন্ন ভাবে হাতবদল করতে হতো। পুলিশ সুপারের এ উদ্যোগে এ প্রথা ভাঙ্গলো বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

আরও পড়ুন