১২ জুলাই ২০২৫

দু:সময়ে স্বপ্ন বাস্তবায়নে সফল কারিগর সায়েম সোবহান

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার পাশাপাশি একটি হাসপাতালের জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে এ লড়াইয়ে সামনের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রস্তাব দেন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাকে (আইসিসিবি) করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ৫ হাজার শয্যার অস্থায়ী হাসপাতালে রুপান্তর করার। যেখানে ২ লাখ ৪০ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে হাসপাতালে রুপান্তরের কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত দিলেই অস্থায়ী এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা শুরু করা সম্ভব হবে।

দেশের এ সংকটময় মুহূর্তে পুলিশ, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও র‌্যাবসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সায়েম সোবহান ব্যক্তিগতভাবে ৫ লাখ ফেস মাস্ক এবং ৫ হাজার পিস পিপিই বিতরণ করেছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ২৫ হাজার ব্যাগ দরিদ্রদের মধ্যে ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন বিতরণ করা হচ্ছে এমন ৩ হাজার ব্যাগ খাদ্যপণ্য।

বাংলাদেশ আজ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন দেশগুলোর অন্যতম। এ ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখে যাচ্ছে রাজনৈতিক, করপোরেট ও সামাজিক নেতৃত্ব। উন্নয়নশীল ও একটি উন্নত দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশের রুপান্তরে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। যার নেতৃত্বে রয়েছেন সায়েম সোবহান আনভীর।

এদিকে মঙ্গলবার (৫ মে) করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবায় তৈরিকৃত হাসপাতালটি পরিদর্শনে আসেন সায়েম সোবহান। এ সময় তিনি বলেন, জাতির এ দুর্যোগে এমন একটি হাসসপাতাল নির্মাণে সরকারকে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা গর্বিত।

সায়েম সোবহান বলেন, ‘দেশের যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় সরকারের পাশে আছে।’ বর্তমান পরিস্থিতিকে অত্যন্ত সংকটময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের পর থেকে এমন কঠিন সময়ের সম্মুখীন হয়নি এ দেশের মানুষ। জাতীয় এ সংকট মোকাবিলায় বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সমন্বয় ও ভালো যোগাযোগের মাধ্যমে দেশের এ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’

তিনি বলেন, এখানে নির্ভর করার মতো পানি, বিদ্যুৎ, রান্নাঘর, অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা, কেন্দ্রীয় শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ এবং এয়ার লিফটিং সুবিধা রয়েছে।

হাসপাতালটি চালু হওয়ার ব্যাপারে সায়েম সোবহান বলেন, সরকারের ওপর নির্ভর করছে। হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের না। এটা সরকার নিয়েছে। আমাদের কাজ ছিল ফ্যাসিলিটিজ (নির্মাণ সুবিধা) দেয়া, আমরা দিয়েছি। এখন সরকার করবে পুরোটা। বাকি কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। এখন নার্স আসবে, ডাক্তার আসবে। হাসপাতাল চালু হবে।

তিনি বলেন, হাসপাতালে একসঙ্গে অনেক রোগীর চিকিৎসা করা যাবে। তবে হাসপাতালটি রোগীতে পরিপূর্ণ হোক এটা আমাদের কারো কাম্য নয়। এটা কারো জন্য ভালো খবর না। দোয়া করি, হাসপাতালটি যেন পরিপূর্ণ না হয়।আমরা আশা করি সবাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এটা করেছি।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন