ksrm-ads

১০ নভেম্বর ২০২৪

ksrm-ads

দেশজুড়ে বজ্রপাতে নিহত ৮

দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে নারী ও শিশুসহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও ঠাকুরগাঁওয়ের পৃথক পৃথক স্থানে এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

নওগাঁয় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জেলার পত্নীতলা ও মান্দা উপজেলায় পৃথক সময়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পত্নীতলা উপজেলার পাটিচরা ইউনিয়নের নাগরগোলা গ্রামের মৃত দিশা মণ্ডলের ছেলে খাদেমুল (৫৫) ও পার্শ্ববর্তী গাহন গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে মনিকা খাতুন (৩২) এবং মান্দা উপজেলার ভোলাম গ্রামের ফইমুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে সামসুল আলম (৩২)।

পত্নীতলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, বিকেল ৩টার দিকে ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশে আম কুড়াতে যান খাদেমুল। এ সময় বজ্রপাত হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। একই সময়ে বাড়ির উঠানে খড় শুকানোর সময় বজ্রপাতে মনিকার মৃত্যু হয়।

মান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজ্জামেল হক জানান, বিকেলে ভোলাম গ্রামে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন শামসুল আলম। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট উপজেলায় বজ্রপাতে দুই শিশু ও এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের পর এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- শিবগঞ্জ পৌরসভার আলীডাঙ্গা গ্রামের সুভাষ বোকতের স্ত্রী ববি বোকত (৩৫), একই উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের মধ্যচর গ্রামের রাকিবুল ইসলামের মেয়ে কবিতা খাতুন (১১) এবং ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছি এলাকার এসলাম আলীর মেয়ে আমেনা খাতুন (১০)।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দুপুরের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির সঙ্গে বিকট শব্দে বজ্রপাত হয়। এ সময় ববি বোকত বজ্রপাতে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পাঁকা ইসমাইল মাস্টারের পাড়ায় নিজ বাড়িতে গোসল করার সময় বজ্রপাতে কবিতা খাতুন মারা যায়।

অপরদিকে বাড়ির পাশে আমবাগানে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে আহত হয় আমেনা খাতুন। পরে আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন এবং ভোলাহাট থানা পুলিশের ওসি সুমন কুমার জানান, বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

নাটোরের নলডাঙ্গায় বারনই নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মো. কামরুল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন মো. মজনু (৪০) নামের একজন।

শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কোমরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কামরুল হোসেন উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মো. লুৎফর রহমানের ছেলে। আহত মজনু একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে।

ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম আশরাফুজ্জামান মিঠু এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ শুক্রবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে মজনু ও কামরুল হোসেন গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন বারনই নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই কামরুলের মৃত্যু হয় আর আহত হন মজনু। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে কামরুলের মরদেহ এবং আহত মজনুকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে মজনু চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নলডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ারুজ্জামান বলেন, দুপুরে নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের পীরগাছা এলাকার পাশে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে লিপি আক্তার (৩৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের রনশিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। লিপি রনশিয়া গ্রামের ফিরোজ্জামানের স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিরাজ বলেন, লিপি আক্তার দুপুরে বাড়ির পাশে ভুট্টার গাছের খড়ি পলিথিন দিয়ে ঢাকতে গিয়েছিলেন যাতে বৃষ্টিতে ভিজে না যায়। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে আহত হন তিনি। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।

আরও পড়ুন