সায়ীদ আলমগীর, কক্সবাজার »
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সেনাবাহিনী দেশমাতৃকার প্রয়োজনে অকুতোভয়ে লড়ে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি দেশ গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করে সুখ্যাতি ও প্রভূত সুনাম অর্জন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনাপ্রধান আরও বলেন, জনকল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে অসহায়, দুঃস্থ ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায় সেনাবাহিনী। এরই ধারায় সেনাবাহিনী কক্সবাজার অঞ্চলের অসহায়, দুঃস্থ ও গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। অসহায়, দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণের মতো মানবিক কার্যক্রম সর্বস্তরের মানুষের মাঝে অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছরা শামলাপুরে সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকায় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় এক হাজার অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালে সেনাবাহিনী প্রধান এসব কথা বলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান আরও বলেন, শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকায় অসহায়, দুঃস্থ ও গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা, গর্ভবতী-প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা সেবা ও বিশেষ পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ দিয়ে চোখের ছানি, চালসে ও দীর্ঘ দৃষ্টি ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং বিনামূল্যে ঔষধপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। সেবামূলক এই ক্যাম্পেইনটি বেসামরিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
এর আগে ১০ পদাতিক ডিভিশনের দায়িত্বপূর্ণ শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকা পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। পরিদর্শনকালে তিনি যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি স্বরূপ বিভিন্ন রণকৌশলগত প্রশিক্ষণ কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় তিনি সৈনিকদের মনোবল উন্নত রেখে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন।
এ সময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসানসহ সেনাসদর ও স্থানীয় ফরমেশনসমূহের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্যগণ, গণমাধ্যম ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।