ksrm-ads

১৫ অক্টোবর ২০২৪

ksrm-ads

নকশা জালিয়াতি: এফআর টাওয়ারের মালিক ফারুক গ্রেপ্তার

বাংলাধারা ডেস্ক »

নকশা জালিয়াতির মামলায় এফআর টাওয়ারের অন্যতম মালিক এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সোয়া একটায় বনানী থেকে দুদকের উপ পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে রোববার এই মামলার অন্যতম আসামি কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর উল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৬ থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগে কাসেম ড্রাইসেলের এমডি তাসভীর ছাড়াও এফআর টাওয়ারের মালিক, রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ২৫ জুন আলাদা দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। দুর্নীতি মামলার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে আসছে দুদক।

এফআর টাওয়ার নির্মাণে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগে ২৫ জুন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থার উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকি বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। মামলা নম্বর ২ ও ৩। মামলায় ২৩ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদিম ও কে এ এম হারুন, এফআর টাওয়ারের মালিক এস এম আই ফারুক, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মুকুল, কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর-উল-ইসলাম, রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান, সাবেক অথরাইজড অফিসার-২ সৈয়দ মকবুল আহম্মেদ, সৈয়দ নাজমুল হুদা, সামছুর রহমান, সাবেক প্রধান ইমারত পরিদর্শক মাহবুব হোসেন সরকার, সাবেক ইমারত পরিদর্শক আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী, নজরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (এস্টেট) রেজাউল করিম তরফদার ও আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, সাবেক পরিচালক (এস্টেট) শামসুল আলম ও আব্দুল্লা আল বাকী, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট) মুহাম্মদ শওকত আলী, সাবেক সহকারী পরিচালক শাহ মো. সামসুল আলম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক (এস্টেট) জাহানারা বেগম ও মোফাজ্জেল হোসেন, সাবেক পরিদর্শক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. এনামুল হক।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, অবৈধ নকশায় তৈরি হয়েছে এফআর টাওয়ার। ১৫তলা থেকে গড়ে তোলা হয়েছে ২৩তলা বিশিষ্ট এই ভবন। ১৫তলা নকশার অনুমোদনেও মানা হয়নি কোনো নীতিমালা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে নিহত হন ২৭ জন। দুর্ঘটনার পর পরই ওই ভবন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম

আরও পড়ুন