চট্টগ্রামের খুচরা ডিমের সংকট না থাকলেও পাইকারী ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ থাকায় কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যদিও কয়েকদিনের মধ্যে ডিমের মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এমনকি চট্টগ্রামের পাহাড়তলি বাজারের একটি আড়তে এক লাখ ডিমের সন্ধান পেয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়াও চট্টগ্রামের মুল্য তালিকার বেশী মূল্যে ডিম বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার। আড়ত বন্ধের অজুহাতে খুচরা বাজার গুলোতে বেশি মূল্যে
ডিম বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ।
গত কয়েকদিন ধরে ডিমের বাজার চট্টগ্রামেও অস্থির হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা মূল্যে। যদিও খুচরাতে এসব ডিম বিক্রি হওয়ার কথা ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়।
সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যে ডিম বিক্রির ঘোষণা পাইকারী ও খুচরা বাজারে কেউ মানছে না। ডিমের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে পাইকারি ব্যবসায়িরা দোকান বন্ধ করে রেখেছেন। অনেকেই রাতেই গোপনে ডিম বিক্রি করছেন। ফলে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন পাইকারী বাজারে ঘুরে হতাশ খুচরা ব্যবসায়িরাও।
পাইকারী ব্যবসায়িরা জানান, দেশে ডিমের উৎপাদন কমে আসায় সংকট তৈরি হয়েছে। দুই সপ্তাহ পর এ সংকট কেটে যাবে।পাবনাসহ বিভিন্ন উৎপাদন স্থলে ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডিম নিয়ে পাইকারি বাজারে কোন সিন্ডিকেট নেই বলে জানান ডিম ব্যবসায়ির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন।
তিনি আরও বলেন, তবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের কারণে পাইকারি ব্যবসায়িরা দোকান বন্ধ করার অভিযোগটি সঠিক নয়। বরং ভ্রাম্যমান অভিযানের চোখ ফাঁকি দিতে
রাতের বেলায় বেশী মূল্যে ডিম বেচাকেনা করেন বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ফয়জুল্লাহ।
এদিকে মূল্য তালিকায় অসঙ্গতি , দোকান বন্ধ রাখা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে জান্নাত পোলট্রিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।।
তবে পাবনাসহ দেশের ডিম উৎপাদনস্থল থেকে কয়েকদিনের মধ্যে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান জানান, উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আগামীকাল বুধবার থেকে সারা দেশে নতুন দাম কার্যকর হবে।
উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।