বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীতে আগামী ১৮ মে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘বৌদ্ধ পূর্ণিমা’কে ঘিরে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে সামনে রেখে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের
নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এমনটি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মাহবুবুর রহমান।
রোববার (১২ মে) সিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় পুলিশ কমিশনার পুলিশের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ কর্তৃক নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন এবং তাদের পরিচিতির জন্য নির্ধারিত পোষাক/আইডি কার্ড/আর্ম-ব্যান্ড পরিধানের জন্য অনুরোধ জানান জানানো হয়।
এছাড়াও বৌদ্ধ পূর্ণিমা ও শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপনের সুবিধার্থে মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা প্রবেশ ও বহির্গমন পথের ব্যবস্থা করা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে অনুষ্ঠান স্থলে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উৎসবে ছিনতাই এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশী অভিযান কার্যক্রম জোরদার, পুলিশী টহল বৃদ্ধি, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী এবং উর্ধ্বতন অফিসার কর্তৃক নিয়মিতভাবে পরিদর্শনের মাধ্যমে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশ কমিশনার।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, সকল উপ-পুলিশ কমিশনার, অতি-উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার, অফিসার ইনচার্জ, র্যাব, এপিবিএন, এনএসআই, ডিজিএফআই, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও ভিডিপি, জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন সহ বিভিন্ন সরকারী সংস্থার প্রতিনিধি, আদর্শ কুমার বড়ুয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, নন্দন কানন, চট্টগ্রাম, স্বপন কুমার বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক, বৌদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদ, জনাব সিদ্ধার্থ বড়ুয়া এফসিএ, সভাপতি বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশন, জনাব সজীব বড়ুয়া ডায়মন্ড, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ, অঞ্চল কুমার তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, চট্টগ্রাম অঞ্চল সহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৮ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমায় জামায়াত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) বা ইসলামিক স্টেট (আইএস) পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে হামলা চালাতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি)।
ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ অথবা পশ্চিমবঙ্গে নারী জঙ্গিদের সামনে রেখে নাশকতার ছককে বাস্তবায়িত করা হতে পারে। নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, বুদ্ধপূর্ণিমার দিন বৌদ্ধ মন্দিরে অথবা অন্য কোনো মন্দিরে ভক্ত সেজে ঢুকে হামলা চালানো হতে পারে। এমনকি নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়াতে গর্ভবতী নারী সেজে (ফিদায়েঁ কায়দায়) পেটের মধ্যে বিস্ফোরক লুকিয়ে মন্দিরে ঢোকার মতো নতুন কৌশল জঙ্গিরা নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর