১২ জুলাই ২০২৫

নগরে বন্ধ গণপরিবহন চলাচল, দুর্ভোগে কর্মস্থলমুখী মানুষ

বাংলাধারা প্রতিবেদক»

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণপরিবহন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ পালন করছে পরিবহন শ্রমিকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ কর্মস্থলমুখী বিভিন্ন পেশার মানুষেরা।

শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় শত শত শ্রমিক জড়ো হয় এ বিক্ষোভে অংশ নেয়।

সরেজমিনে নগরের ইপিজেড, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরে দেখা যায়, সড়কে শুধু সিএনজি, রিকশা, মোটরসাইকেল এবং টেম্পু চলাচল করছে। অনেকে মিনি ট্রাক ভাড়া করেও যাচ্ছেন গন্তব্যে। গাড়ি না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছেন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে।

নগরের সল্টগোলা ক্রসিং থেকে ওয়াসা মোড় যাবেন রাকিব। তিনি বাংলাধারাকে বলেন, ‘সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও কোন গণপরিবহনের দেখা পাচ্ছিনা। অফিস তো যেতে হবে, তাই পায়ে হেঁটেই রওনা করব। সিএনজি ভাড়া চাচ্ছে দ্বিগুণ।’

এর আগে শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নগরে গণপরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর পাম্পগুলোতে গিয়ে তেল পায়নি গণপরিবহনগুলো। এই অবস্থায় আগের ভাড়ায় গাড়ি চালালে পরিবহন মালিকরা লোকসান গুনবে। টাকা সব পেট্রোল পাম্পওয়ালাদের দিয়ে আসতে হবে।’

‘তাই তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে গণপরিবহন ভাড়া সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত আগামীকাল থেকে গাড়ি বন্ধ থাকবে।’—যোগ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা আর পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সেই হিসেবে শনিবার (৬ জুলাই) থেকে এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে ১১৪ টাকা, এক লিটার অকটেনের জন্য দিতে হবে ১৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার পেট্রলের দাম হবে ১৩০ টাকা।

ডিজেল ও কেরোসিনে লিটারপ্রতি ৩৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৪ টাকা। অকটেনে ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা ও পেট্রল লিটারে ৪৬ টাকা বেড়ে করা হয়েছে ১৩০ টাকা।

তবে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের বাইরে লিটারপ্রতি ডিজেল ১০৬ টাকা, কেরোসিন ১০৭ টাকা অকটেন ১২৪ টাকা এবং পেট্রল ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাধারা/আরএইচআর

আরও পড়ুন