নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, আগামী নভেম্বরেই চালু হবে নির্বাচনী অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা, ভোটার হার, ভোটকেন্দ্র ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যাবে।
বুধবার (৯ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আইন অনুযায়ী অফলাইন, অনলাইন দুভাবেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। শুধু অনলাইন রাখতে গেলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করতে হবে। টোটালি অনলাইন এখন আমরা চাইলেও হবে না। আমরা চিন্তা করছিলাম সব নির্বাচনের জন্যই যাতে এটা প্রযোজ্য করা যায়। এটা বাধ্যতামূলক করার সুযোগ নাই। কারণ আইনে সংশোধন আনতে হবে। তাই বাধ্যতামূলক আমরা যাচ্ছি না। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দেওয়ার সুযোগটা এজন্য করা হয়েছে যাতে কেউ কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। আমরা অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করব। কেননা, ঘরে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।
নির্বাচনি অ্যাপসে আর কী থাকবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূলত টোটাল ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হবে ওটা। নমিনেশন সাবমিট করা যাবে, এনআইডি নম্বর দিলে অনেক বিষয় অটোপূরণ হয়ে যাবে। ডকুমেন্ট স্ক্যান করে দিতে হবে।
নির্বাচনি কেন্দ্রগুলোর নামের তালিকা, ছবি থাকবে। কে কোথায় কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে। এনআইডি নম্বর দিয়ে অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এতে গুগল ম্যাপেও ভোটার তার ভোটকেন্দ্র দেখতে পারবে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা থাকবে। দুই ঘণ্টার অন্তর অন্তর ভোট পড়ার হার জানানো হবে। ১০টা, ১২টা, ২ট ও বিকেল ৪টায় আপডেট থাকবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ফলাফল আমরা অ্যাপসে কেন্দ্রভিত্তিক দেখতে পারব। বেসরকারি ফলাফলটাও দেখা যাবে।