নাট্যপাড়া যেন আবারও সরগরম, কেন্দ্রবিন্দুতে অভিনেতা আরশ খান। সবকিছু শুরু হয়েছিল অভিনেত্রী তানিয়ার একটি আলোচিত সাক্ষাৎকার ঘিরে। সেখান থেকেই একে একে খুলে যেতে থাকে প্রেম, বিচ্ছেদ ও সম্পর্কের নানা পরত।
ঠিক এমন সময়েই আরশ খান নিজের এক সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেন আরও কিছু বিস্ফোরক তথ্য। অভিযোগ করেন, ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে একঘরে করে রেখেছিল এক ‘অভিনেত্রী সিন্ডিকেট’। তবে এই কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন আরেক অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা।
এরপর নাটকীয়তা বাড়তে থাকে আরও। শুরু হয় আরশের নতুন প্রেম নিয়ে নতুন জল্পনা। তবে সেই সম্পর্কও বেশিদিন টেকেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন সুনেহরা বিনতে কামাল। গুঞ্জন আরশ ও সুনেহরার সম্পর্ক শুধু নাটকের পর্দায় নয়, বাস্তবেও রসায়নের জন্ম দিয়েছে!
ভক্তদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন এই ঘনিষ্ঠতা কি শুধুই অভিনয়ের প্রয়োজন, নাকি এর পেছনে রয়েছে গভীর কোনো বাস্তব গল্প?
নেটদুনিয়ায় নানা পোস্ট, অন্তরঙ্গ ছবি আর আবেগঘন ক্যাপশন যেন ইঙ্গিত দিচ্ছে ভিন্ন কিছু।
গত ৯ জানুয়ারি, রাত ১২টা ৫১ মিনিটে আরশ খান একটি ছবি শেয়ার করেন সঙ্গে সুনেহরা, দুজনেই হাস্যোজ্জ্বল। আরশের কানে সূর্যমুখী ফুল। কিন্তু যা নিয়ে বেশি আলোচনায়, তা হলো ছবির ক্যাপশন—
“ধরে নেওয়া যাক তুমি সুখ, আমি দুঃখ
আমাদের মাঝে সব থাকুক—কষ্ট, কান্না, অস্থিরতা
গ্রাস করুক আমাদের
এরপর সুখ আসুক, একটু হাসাহাসি, আসুক স্থিরতা
দুঃখ ছাড়া সুখ, তুমি ছাড়া আমি—
র মতো তাই আমাদের মাঝে সব থাকুক।
পূর্ণতা।”
এর আগেও, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর, সুনেহরা নিজের ফেসবুকে আরশের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন—“To be continued…”
আর ২৬ অক্টোবর, আরশ আবারও ছবি পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যায়, সুনেহরা তার বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছেন। ক্যাপশনে লিখেন—
“আমি পুরুষ
যারে একবার মন দেই
তারে পিঠ দেখাই না
তারে আমার বুক দেখামু
সুখ দেখামু, ভালোবাসা দেখামু
কষ্ট লুকায় রাখুম
পিঠে যেন না দেখে।”
এসব পোস্ট ঘিরেই নাট্যপাড়া ও অনলাইন দুনিয়ায় শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—তানিয়ার সঙ্গে কি আরশের সম্পর্ক শেষ? সুনেহরার সঙ্গেই কি তিনি এখন নতুন প্রেমে?
যদিও দুই তারকার কেউই এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি, তবে অনুরাগীরা বলছেন—ছবি আর কথাগুলোই যেন বলে দিচ্ছে না বলা অনেক কিছু।
নাটকের জগতে প্রেমের গল্প নতুন কিছু নয়। কিন্তু যখন তা বাস্তব জীবনের ছোঁয়া পায়, তখন তা দর্শকদের কৌতূহলের শীর্ষে পৌঁছায়।
এখন শুধু অপেক্ষা, আদৌ কি এই সম্পর্কের খবর আনুষ্ঠানিক রূপ পায়? ততদিন পর্যন্ত, বাস্তব জীবনেই চলুক নাটকের আবহ।