বাংলাধারা প্রতিবেদন »
যথাযোগ্য মর্যাদায় ও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও নানা সংগঠনের উদ্যোগে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। এসময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অভিন্ন এবং সমার্থক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা একাকার হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। যার নাম বর্তমানের বাংলাদেশ।
বুধবার দিনের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একাত্তরের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান।
শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
এরপর বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় শহীদ মিনার।
আওয়ামী লীগ, বিএনপির পাশাপাশি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, ওয়ার্কাস পার্টি, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচী, খেলাঘরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে আজ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নগরীর কোর্ট হিলে ৩১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়। সকল সরকারি বেসরকারি ও আধাসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সালাম গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বিজয় দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে অনলাইনে শিশুদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া-মোনাজাত ও প্রার্থনা। দুপুরে নগরীর হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, ভবঘুরে কেন্দ্র ও বৃদ্ধাশ্রমে উন্নতমাণের খাবার পরিবেশন করা হয়।
বাংলাধারা/এফএস/এআর