ksrm-ads

১৯ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

নার্সারিতে স্বামী-স্ত্রীর সাফল্য, আয় প্রায় দুই কোটি টাকা

বিশেষ প্রতিবেদক  »

মাত্র ১২ হাজার টাকায় শুরু করা নার্সারির পরিধি ও আয় বেড়েছে প্রায় দুই কোটি টাকার। প্রথম দিকে যদিও বাপ-ছেলের হাত ধরে শুরু হয় নার্সারি ব্যবসা। কিন্তু চার বছর পরই বাবার অনুপস্থিতিতে সেই নার্সারির দায়িত্ব পড়ে ছেলে মোহাম্মদ জসিমের হাতে। সেই থেকে স্বামীর সাথে স্ত্রী রুজিনা ইয়াছমিনও দায়িত্ব পালন করেন। এভাবেই পথ চলা শুরু ফতেয়াবাদ নার্সারির। ফতেয়াবাদ নার্সারিটি শুধু রুজিনা-জসিমেরই আয়ের একমাত্র উৎস নয়, এ নার্সারিতে কর্মসংস্থান হয়েছে আরো ৬০ জন মানুষের। তারাও এখানের আয় দিয়ে চালায় সংসার।

দীর্ঘ ৪০ বছর পর সেই কষ্টার্জিত নার্সারির জন্য সম্মানিত হচ্ছেন তাঁরা। বৃক্ষ রোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১৯ সারা বাংলাদেশের মধ্যে চট্টগ্রাম ফতেয়বাদ থেকে ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি’ শ্রেণিতে দ্বিতীয় পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন রুজিনা ইয়াছমিন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের বাইরে ফতেয়বাদ স্কুল গেটের দুই পাশে মেইন সড়কের সাথে অবস্থিত এ নার্সারি। এতে প্রায় ৩শ’ জাতের, এক হাজার প্রজাতির ফলজ, বনজ, ওষধি, ফুল ও সৌন্দর্যবর্ধনের পাতাবাহার গাছ রয়েছে। প্রথম দিকে মাত্র দুই একর জায়গায় নার্সারি শুরু করলেও বর্তমানে ১০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এ নার্সারি। এখানে কর্মরত ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও ২০ জন নারী।

মোহাম্মদ জসিম বলেন, ১৯৮০ সালে বাবার সাথে নার্সারি ব্যবসা শুরু করি। পরে নার্সারির পুরো দায়িত্ব আমার একার কাঁধে পড়ে। পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল এ নার্সারি। সেই থেকে আমার স্ত্রীও সহযোগিতা করে আমাকে। এভাবে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে নার্সারির পরিধি। এখন আমাদের চারটা নার্সারি।

তিনি বলেন, বর্ষকাল গাছ লাগানোর মৌসুম। এ মৌসুমে আমাদেরও বেচাবিক্রি ভালো হয়। প্রতিমাসে প্রায় ৯-১০ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করি। তবে বর্ষার এ তিন মাসে এটি আরো বাড়ে। বছরে ৮০-৯০ লাখ টাকার গাছ বিক্রি হয়। পাইকারি দামে বিভিন্ন নার্সারির মালিকরাও এখান থেকে চারা কিনে নেয়। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখান থেকে চারা ও গাছ সংগ্রহ করে।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ