১৯ নভেম্বর ২০২৫

নির্মাণাধীন পারকি পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ শেষ হবে ডিসেম্বরে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পারকি সমুদ্র সৈকত সম্ভাবনাময়। এখানে নির্মাণাধীন পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ কয়েক দফায় শেষ না হওয়ার কারণে তিনি প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সকল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের সব ধরনের অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন হবে। এছাড়া পানি সমস্যাসহ নানা কারণে পারকি সমুদ্র সৈকতে নির্মিত পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সমুদ্র সৈকত এবং পারকি সৈকতে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প “পারকিতে পর্যটন সুবিধা প্রবর্তন (২য় সংশোধিত)” শীর্ষক প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম নাসরীন জাহান বলেন, পারকি সমুদ্র সৈকতের পর্যটন কমপ্লেক্স একটি সম্ভাবনাময় প্রকল্প। এ ক্ষেত্রে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়া তিনি এই অঞ্চলের ট্যুরিস্ট পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের ভূমিকার গুরুত্বেও জোর দেন।

পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, প্রকল্প পরিচালক মাজেদুর রহমান, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার আগমনে পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজের গতি বাড়ানো হলেও পূর্বে তা ধীরগতিতে ছিল। মূলত উপদেষ্টাকে দেখানোর জন্য ঠিকাদাররা তৎপরতা দেখান। অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের বালু দিয়ে দেওয়াল প্লাস্টার ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে কাজ শেষ হওয়ার আগে নির্মিত সীমানা প্রাচীর ভেঙে যাচ্ছে।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন বলেন, দূর্নীতি ও অনিয়ম হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিকাদারদের কোনো ধরনের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাজের তদারকিও করা হবে।

পরিদর্শন শেষে পর্যটন কমপ্লেক্সের মাঠে বৃক্ষরোপণ করেন উপদেষ্টা।

উল্লেখ্য, পারকি সমুদ্রসৈকত আধুনিক করার জন্য ২০১৮ সালে ১৩.৩৬ একর জমিতে ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে অত্যাধুনিক বিশ্বমানের পর্যটন কমপ্লেক্স নির্মাণ শুরু হয়। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ দুই বছর নির্ধারণ করা হয়। ২০২০ সালের নভেম্বরে মেয়াদ শেষ হলেও তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে মাত্র ২০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি।

তাই দ্বিতীয় দফায় নির্মাণের মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয় এবং বরাদ্দ বেড়ে ৭১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। তবে ধীরগতির কারণে ২০২৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্প কর্তৃপক্ষ পুনরায় চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ