কক্সবাজারের উখিয়ায় ফাঁদ পেতে আটক করা শতাধিক সাদা বক মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিয়েছে প্রশাসন। একইদিন পেকুয়ায় পৃথক অভিযানে ডজনাধিক অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন ও বনবিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) পৃথক সময়ে এসব অভিযান চালানো হয়।
সূত্র জানায়, উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মাছকারিয়ার বিলে অবৈধভাবে ফাঁদ পেতে বক শিকার করে পাখি শিকারী দল। প্রতিনিয়ত বনবিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাল বসিয়ে ফাঁদ পেতে এসব পাখি শিকার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরবরাহ করা হতো। শিকারের কাজে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতাও নেন তারা। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় বনবিভাগ।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, প্রায়সময় উখিয়ার মাছকারিয়ার বিলে অবৈধভাবে পাখি শিকার করে দুষ্কৃতকারী পাখিখেকোরা। শীত মৌসুমে তাদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। বনবিভাগ কর্তৃক উদ্ধার করা পাখিগুলো একইদিন বিকেলে উখিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে খোলা আকাশে অবমুক্ত করা হয়। শিকার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অপরদিকে, রত্নাপালং এলাকায় অবৈধ সমিল উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বনজ কাঠ জব্দসহ স’মিল উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
উখিয়া থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সহযোগিতায় অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমদ।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ শফিউল আলম জানান, বনের কাঠ চিরাই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে একটি চক্র। তাদের স্থাপন করা অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ পরবর্তী নিয়মিত বন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পেকুয়ায় অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ। বৃহস্পতিবার আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারস্থ ১০টি অবৈধ করাত কলে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ ও করাত কলের মালামাল জব্দ করা হয়েছে। বিকল করে দেওয়া হয়েছে করাত কলের মেশিন। জব্দকৃত মালামাল ও কাঠ বনবিভাগ জব্দ করেছে।
পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষের নেতৃত্বে চলা অভিযানকালে করাত কলের মালিকগণ পালিয়ে যায়।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, পেকুয়া বাজারে আসানো অবৈধ ১০টি করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে মালামাল ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে। করাতকলের মালিকদের বার বার নোটিশ দেয়ার পরও তারা লাইসেন্স করেনি। করাতকল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী করাতকল পরিচালনায় লাইসেন্স নিয়া বাধ্যতামূলক।
পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষ বলেন, একটি করাত কলেও লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। কাঠ ও মালামাল জব্দ করে মেশিন গুলো বিকল করে দেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।