বাংলাধারা ডেস্ক »
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিন যুবককে আটক করেছে।
সোমবার (১০ জুন) বিকেলে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের সাখরা গ্রাম এলাকার কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলসহ আলাদা স্থান থেকে জামরুল (২৮), হুমায়ুন (২৩) ও কাজল (৪৫) নামে তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, গণধর্ষণের শিকার কিশোরী একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সে বিকেলে ইউনিয়নের সাখরা গ্রামের কাছে বখাটেদের খপ্পরে পড়ে। প্রথমে তাকে তুলে নিয়ে একটি জঙ্গলে ও পরে সেখান থেকে আবার এক গেরস্তের গোয়াল ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। গোয়াল ঘরে ধর্ষণের সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে একজনকে ধরে ফেললে বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে আরও দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
তিনি বলেন, মেয়েটিকে গোয়াল ঘর থেকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে কাজল, হুমায়ূন ও কামরুল নামের তিন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুন্ডলি গ্রাম এলাকায় এক পোশাককর্মী গণধর্ষণের শিকার হন। গণধর্ষণের ওই মামলায় পুলিশ তিনজনকে আলাদা সময়ে আটক করে আদালতে হাজির করে। আদালতে আসামি টিপু প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বাকি দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ড চায় পুলিশ।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি