বাংলাধারা ডেস্ক »
‘সা রে গা মা পা’ তারকা নোবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনেছে ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রী। শাহরিন সুলতানা (ছদ্মনাম) নামের ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলেছে পিতার চাকরি সূত্রে গোপালগঞ্জে থাকার সময় থেকে নোবেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমনকি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নোবেল নিজের বাসায় তার সাথে ৭/৮ বার দৈ’হিক সম্পর্কেও মিলিত হয়।
ওই ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছে, ‘নোবেল, বাংলাদেশের লাখো মেয়ের ভালোবাসা। লাখো ছেলের আইডল। কিন্তু একমাত্র গোপালগঞ্জবাসীরাই চিনে ওর আসল রূপ। আজ আমি আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো ভোলাভালা চেহারার পিছে লুকিয়ে থাকা এক হিংস্র জানোয়ারের সাথে যাকে আপনারা সবাই নোবেলম্যান নামে চিনেন। আমার মত অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের মিথ্যা প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ইজ্জত নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার উপর যদি নোবেল থাকতো, তাহলে তা এই সারাগামাপা খ্যাত মাদকাসক্ত নোবেল-ই পেতো। মাদক আর নারীর নেশায় আসক্ত নোবেলকে আজ যখন কোটি মানুষ আইডল মানে, তা দেখে আসলেই দেশের ফিউচার জেনারেশান নিয়ে খুব ভয় হয়। মাদকাসক্ততার কারণে দুইবার রিহ্যাবে গিয়ে মাদকের নেশা থেকে কয়েকদিন দূরে ছিল। কিন্ত নারীর নেশার জন্যতো রিহ্যাব নেই। আর এটি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার মত শত শত মেয়ের জন্য।’
‘নোবেলের সাথে আমার পরিচয় হয় গতবছরে, যখন আমার বয়স মাত্র ১৫। প্রেম ভালোবাসা এগুলো তত বুঝতামনা। নোবেল আমাকে বুঝতে শিখায় ভালোবাসা কি। বয়স কম থাকার কারণে ওর প্রতিটা ফাঁদে খুব সহজেই পরে যাই। এই ফাঁদে শুধু আমি পরিনি। আমার মত আরো অনেক মেয়েই পরেছে। মেয়েগুলো বেশিরভাগি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল। কিন্ত নোবেলের বিরুদ্ধে মুখ খুলার সাহস সব মেয়েগুলোর দিন দিন নোবেলের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে ক্রমশ কমতে থাকে। আজ আমি কিছুটা সাহস নিয়ে আসলাম। আমি ডিপ্রেশানে চলে গিয়েছি। মাঝে মাঝে নিজের জীবনটা দিয়ে দিতে মন চায়। কিন্ত আ’ত্মহত্যা মহাপাপ বলে তা পারিনা। যদিও আমার আত্মাটা নোবেল আরো আগেই মেরে ফেলেছে।’
‘আপনারা সবাই ভাবছেন নোবেল এগুলো কেমনে করে? আমি যদি বলি ওর এই সকল কু’কর্ম ওর বাবা মাও জানে তাহলে বিশ্বাস করবেন? প্রত্যেকটা মেয়েকে ও ওর বাসায় নিয়ে যায় ফিজিক্যালি ইনভল্ব হওয়ার জন্য। ওর বাবা মার সাথেও পরিচয় করায় বন্ধু হিসেবে। অন্যদিকে মেয়েটাকে আশ্বাস দেয় যে বাবা মার সাথেতো পরিচয় হয়েছেই। বিয়েও করবে মেয়েটাকে। এখনতো সব করা যায়। আমিও এই ফাঁদে পা দিয়েছি। ওর পিপাসা মিটলে ওর ওই বাবা মার সামনেই মেয়েটাকে অপমান করে বের করে দেয়। আর ওর বাবা মা কিছুই বলেনা। তাই ওর এমন হওয়ার পিছে ওর পরিবারো দায়ী!! নোবেলের নিজের একটা বোন আছে। কিভাবে সে অন্যের বোনের জীবন এভাবে ধ্বংস করে আমার জানা নেই। অনেকেই বলবেন ওর নামে কেস করতে। ওর নামে কেস করেও লাভ নেই। পুলিশ ওর বাবার পকেটে থাকে।’
‘সবশেষে বলবো যে, আমি জানি এই সমাজ আমাকেই খারাপ বলবে। আমি-ই গালি খাবো নোবেলের ফ্যানদের থেকে। কারণ আমাদের সমাজে সব দোষ মেয়েদেরই হয়। এই পোস্ট দিয়ে নোবেলের কিছুই হবেনা এটাও আমি জানি। কিন্তু যাই হোক না হোক, আমার ভিতরের মৃত আত্মাটার কিছুটা শান্তি হবে এই জানোয়ারটাকে সবার সামনে তুলে ধরতে পারলে। ওর আসল চেহারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের দেখা উচিৎ। ওর মত ছেলে লাখো ছেলের আইডল হোক, এটি মেনে নেওয়া যায়না। শত মেয়ের জীবন নষ্টের কারণ কোন মেয়ের ক্রাশ হতে পারেনা।’
‘ওর ব্যাপারে সর্বশেষ জানলাম যে ঈদের আগের দিনও মাতাল হয়ে গোপালগঞ্জের একজনের উপরে মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়। তার মানে রিহ্যাবে গিয়েও লাভ হয়নি। ও এখনো মাদক সেবন করে। আর নারীর নেশা কাটানোর জন্যতো রিহ্যাব ও নেই। এই নেশা ওর কাটবেনা!!’
‘আপনাদের বিশ্বাস করানোর জন্য কিছু ছবি দিলাম। ছবিগুলো কিছু ও তুলেছে কিছু আমি আমার আর ওর ছবি, ওর বাসার রুমের ছবি (বিশ্বাস না হলে ওর বাসায় গিয়ে দেখে আসেন), কিউট হয়ে ঘুমিয়ে থাকার ছবিটিও দিলাম।’ সূত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি