কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার একটি মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে ৬ মে কারাগারে গেছেন চট্টগ্রামের পটিয়ার দক্ষিণ হুলাইন অলি বিশ্বাসের বাড়ির মৃত ইকবাল হোসেনের ছেলে মাহবুব আলম (৫০)। এসময় তিনি পাকস্থলীতে জমা রেখেছিলেন প্রায় ৫শ’ ইয়াবা। কারাগারের বাসিন্দা হবার ৪দিনের মাথায় মলত্যাগের মাধ্যমে বিশেষ কায়দায় ইয়াবাগুলো বের করেন তিনি।
ইয়াবাগুলো আলাদা ভাবে নিয়ে কারা অভ্যন্তরের সবজিক্ষেতে লুকিয়ে রাখেন কৌশলী মাহবুব। আর পরিস্থিতি বুঝেই ইয়াবা আসক্ত বন্দিদের কাছে তা বিক্রি করতে সহযোগিতা নেন ২০১৮ সালে ইয়াবা মামলায় কারান্তরিণ কক্সবাজারের উখিয়ার ওয়ালাপালং সিকদার বিলের চাঁদ মিয়ার ছেলে মুহাম্মদ ইসলাম ওরফে সালামের। আর তখনই দু’জনের দুর্বিসন্ধি আবিষ্কার করে ২৩ মে ইয়াবাগুলো জব্দ করে ফেলে সতর্ক কারা কর্তৃপক্ষ। তাদের দুজনের কাছ হতে, ৪০৫ পিস ইয়াবা জব্দ হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার বাদি কক্সবাজার কারাগারের জেলার রীতেশ চাকমা বলেন, গত ৬ মে টেকনাফ থানার একটি ইয়াবা মামলায় কক্সবাজার জেলা কারাগারে আসে পটিয়ার মাহবুব। সেসময় তার পেটে ইয়াবা নেয়াছিল। ১০ মে মলত্যাগের মাধ্যমে বের করে কারাভ্যন্তরের সবজি বাগানে লুকিয়ে রাখা ইয়াবাগুলো ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) বিক্রির উদ্দেশ্যে করাভ্যন্তরে নেয়া হয়। কারারক্ষী আব্দুল মজিদের সহায়তায় হিমছড়ি কক্ষ থেকে ব্যবহৃত ব্যাগ তল্লাশী করে ৯ পোটলায় মোট ৪০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার কারাগারের সুপার মো. বজলুর রশিদ আখন্দ বলেন, আমি আসার পর থেকে মাদকের বিষয়ে জিরো-টলারেন্স অবস্থা ঘোষণা করেছি। তাই কর্তৃপক্ষ সব সময় সচেতন থাকে। আমাদের প্রশিক্ষিত টিম মাদক উদ্ধারে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। কারা অভ্যন্তরে পর্যবেক্ষক নিয়োগ ও বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগে এবার ১০ম বারের মতো ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।
তিনি আরো বলেন, এসব যাত্রা কক্সবাজার কারাগারকে আদর্শ কারাগারের খ্যাতির দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। এটি হলফ করে বলতে পারি, মাদক সংশ্লিষ্টরা যত অপকৌশল করুক আমরা তাদের সেই দূর্গ বেধ করব, ইনশাআল্লাহ।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর