ksrm-ads

২৭ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

পটিয়ায় মৎস্য উৎপাদনে বিপুল সম্ভাবনা

গিয়াস উদ্দীন, পটিয়া »

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা মৎস্য উৎপাদনে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পটিয়া উপজেলা মৎস্য সিনিয়র অফিসার লুৎফুর রহমান। পটিয়ার আশপাশের অন্যান্য উপজেলার চেয়ে মৎস্য উৎপাদন, উদ্যোক্তা, বায়োক্লোপ পদ্ধতি মাছ চাষ করে মৎস্য চাষীরা সাবলম্বী হয়ে উঠছে।

লুৎফুর রহমান জানান, পটিয়ায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পুকুর রয়েছে। যেগুলোতে বিভিন্ন মাছের চাষ করে মাছ চাষীরা। তৎমধ্যে ৩টি ইউনিয়ন পোনা চাষ করে মৎস্য চাষীরা লাভবান হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে হাইদগাঁও,কেলিশহর ও ধলঘাট। এই তিন ইউনিয়নে ৮০-৯০টিরও বেশি পোনার পুকুর রয়েছে। দ্রুত গতিতে উন্নত প্রযুক্তির মৎস্য চাষের সম্প্রসারণ ঘটছে পটিয়ায়। পাশাপাশি মাছ চাষের জন্য মানসম্পন্ন পোনা প্রাপ্তিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

উপজেলার খরনা ইউনিয়নে নব্বই দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে মনোসেক্স তেলাপিয়ার উৎপাদন শুরু করে ইউনাইটেড একুয়া হ্যাচারি। ১২ একর জায়গা লিজ নিয়ে মনোসেক্স তেলাপিয়া উৎপাদন শুরু করে ইউনাইটেড একুয়া হ্যাচারি। ইউনাইটেড একুয়া হ্যাচারি ২০০৩ ও ২০০৫ সালে দু’বার মৎস উৎপাদনে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় পুরস্কার পায়।

পটিয়া উপজেলার মৎস্য সম্পদ বিষয়ক তথ্য থেকে জানা যায়, পটিয়া উপজেলার মোট দীঘির/পুকুরের সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজারেরও বেশি। মৎস্য খামারের সংখ্যা ১২৬ টি। বার্ষিক মাছ উৎপাদন ৫ হাজার মেট্রিক টন। মোট মৎস্য চাষির সংখ্যা ২হাজার ২৩০ জন তৎমধ্যে রেজিস্ট্রার্ড মৎস্য চাষী রয়েছেন ১ হাজার ১৬৬ জন। মোট নার্সারি পুকুরের সংখ্যা ৫২০টি। মোট মৎস্য নার্সারির সংখ্যা ১৭৫ জন। ১টি সরকারি (মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার, চক্রশালা, পটিয়া) ও ২টি বেসরকারি হ্যাচারি (ইউনাইটেড অ্যাকোয় হ্যাচারি খরনা ও হযরত শাহজালাল হ্যাচারি মুরালি ঘাট, ছনহরা, পটিয়া) আছে। নিবন্ধনকৃত জেলের সংখ্যা ৯৫০ জন।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের অধিকাংশ পোনা সরবরাহ করা হয় পটিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে। কুমিল্লা ও রাউজানের হালদা নদী থেকেও রেনু এনে তারা পুকুরে ফেলেন। পরবর্তীতে রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে মাছের পোনা বিক্রি করেন। পটিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় থেকে প্রতিদিন ভোরবেলায় পুকুর থেকে পোনা নিয়ে অন্য এলাকায় সরবরাহ করেন।

মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, অন্যান্য প্রাণির মতোই শরীরের ইমিউনসিস্টেম মাছের রোগ প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ইমিউনসিস্টেম পানিতে বিরাজমান রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে অবিরত যুদ্ধ করে মাছকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

ইউনাইটেড একুয়া হ্যাচারির ম্যানেজার মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, হ্যাচারি গুলো করোনা মহামারীর কারণে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

তিনি জানান, আমাদের হ্যাচারিতে মনোসেক্স তেলাপিয়ার উৎপাদনের সময়কাল হচ্ছে প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি হতে এপ্রিল পর্যন্ত। মহামরি করোনা কারণে এ বছর আমাদের উৎপাদিত মনোসেক্স তেলাপিয়া পোনাগুলো যথাসময়ে বিক্রি করতে না পারার কারণে পোনাগুলোকে খাদ্য দেওয়া, কর্মচারীর বেতন, বিদুৎ বিল, সর্বশেষ পোনাগুলি মারা যাওয়ার কারণে আমাদের বিরাট অংকের লোকসান গুনতে হয়েছে। এ হ্যাচারির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আমাদের এত লোকসান গুনতে হয়নি যা এ করোনা মহামারিতে হয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/এএ

আরও পড়ুন