ksrm-ads

৫ অক্টোবর ২০২৪

ksrm-ads

পটিয়া থানা পুলিশ-সাংবাদিক লুকোচুরি!

পটিয়া প্রতিনিধি »

পটিয়ায় এক রোহিঙ্গা নাগরিককে ১৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোবারক হোসেন দিনভর লুকোচুরির অভিযোগ উঠেছে।

আটককৃত রোহিঙ্গা নাগরিক হলেন, মমতাজ হোসেন (৪৮)। তার পিতার নাম আবদুল হাকিম। কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক সি-২ তে তার পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে বরে জানা গেছে।

জানা যায়, গত ১৭ আগষ্ট শনিবার বিকাল সাড়ে চার টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শান্তিরহাট এলাকায় ইউনিয়ন ব্যাংকের নীচে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে কাধে একটি ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখতে পেয়ে আগে থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওৎ পেতে থাকা এস আই মোবারক হোসেন তাকে তল্লাশি চালিয়ে কাধে থাকা ব্যাগ থেকে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। আটক করার পরে রোহিঙ্গা নাগরিককে ইয়াবাসহ থানায় নিয়ে আসা হয়।

এসময় খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা এসআই মোবারকের নিকট জানতে চাইলে সে জানান, ২৩শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তথ্য নিশ্চিত করে এসআই মোবারককে চ্যালেন্জ করে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানালেও এসময় এস আই সংবাদকর্মীদের পাল্টা জানান ‘১৫ হাজার পিস ইয়াবার কথা যে বলেছে তাকে তার নিকট ধরে নিয়ে আসতে।’

এ বিষয়ে সংবাদকর্মীরা পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিনকে জানালে ওসি সংবাদকর্মীদের কিছুক্ষনের মধ্যে জানানো হবে বলে জানান। পরে তিনি রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সংবাদকর্মীদের ‘১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার এবং রোহিঙ্গা নাগরিক আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৫ লক্ষ টাকা। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পরে উক্ত এসআই মোবারকের নিকট ইয়াবা নিয়ে লুকোচুরির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আসলে ওই সময়ে উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো গননা করা হয় নি। তাছাড়া মূল হোতাকে ধরার জন্য এ কৌশল নেয়া হয়েছে।’ পরে গননা না করে সুনির্দিষ্ঠভাবে ২৩ শ’ পিস ইয়াবার সংখ্যা কেন বলা হল এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি হেসে উক্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

ইয়াবা নিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিদের মধ্যে এ ধরনের লুকোচুরি এবং সময়ক্ষেপন প্রসঙ্গে পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন খাঁনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে জানানো হয়েছে সন্ধ্যা ৬ টায়। তবে কত পিস ইয়াবা পেয়েছে তা ঐসময়ে আমাকে জানানো হয় নি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন