পটিয়া প্রতিনিধি »
তৌহিদুল ইসলাম নামে এক গরু ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় থানায় নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ তিন পুলশি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ওসি বোরহান উদ্দিন, এসআই নাদিম, এসআই আকতার হোসাইন এবং পুলিশের সোর্স কালু আবু ও মো. মাহমুদুল হক আনোয়ার সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৌহিদুল ইসলামের পিতা আবদুর রাজ্জাক।
আবদুর রাজ্জাক বাংলাধারা কে জনান, গরু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্য সৈয়দ মো. ফয়সাল (৩৮), মো. হারুনুর রশিদ (৪০), মো. মিয়া (৩৯), মোস্তাকিম মাহমুদ (৩৫) ও মো. তারেক হোসেন (৩৪) ব্যবসায়িক সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। ২৫ মে মেসার্স রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজ থেকে ১৮ লাখ টাকার ১৪টি গরু কেনে তারা। ঈদের পরে গরুর মূল্য পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা সেটি করেনি।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার ছেলে মোহাম্মদ সাহেদের (২৪) সাথে ফয়সাল ও আনোয়ারের কথাকাটাকাটি হয়। অভিযুক্তরা পাওনা টাকা না দেওয়ার উদ্দেশ্যে গরুগুলো তাদের খামার থেকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়। পরে পটিয়া থানায় সহযোগীতায় আমার ছেলে তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পটিয়া থানা পুলিশ আমার ছেলেকে থানায় নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বাংলাধারাকে জানান, এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ লুকানোর কিছু নেই অভিযোগ করেছে তদন্ত সাপেক্ষে যা হয় তা হবে। আমি আর আমার অফিসাররা এখানে গরু চুরি করতে বসিনি। তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা মামলা হয়নি। তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক পার্টনার গরুর চুরির মামলা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার এসআই নাদিম মাহমুদ বাংলাধারাকে জানান, এটি ভিত্তিহীন অভিযোগ আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা কেন আমাকে জাড়ানো হয়েছে তা বুঝতে পারছিনা। যা হোক অভিযোগ করেছে তদন্ত সত্য উঠে আসবে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর