পটিয়া প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম পটিয়া উপজেলার প্রত্যক এলাকায় মোবাইলে লুডু খেলা এখন জুয়ায় পরিণত হয়েছে। আগেকার সময়ে দেখা যেত, লুডু খেলার বোর্ড ছিল কাগজের তৈরি এখন তা খুব সহজেই স্মার্ট ফোনে অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যায়। মোবাইলের মাধ্যমেই চলছে উপজেলায় গ্রাম, মহল্লা ও পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল জুয়া।
স্মার্টফোনে ‘লুডু কিং’ নামে একটি অ্যাপ ইনস্টল করে সর্বোচ্চ আটজন মিলে এ খেলা খেলতে পারেন। খেলার ধরন রয়েছে দুই প্রকার। একটি অনলাইনের মাধ্যমে অপরটি একটি মোবাইলে একইসঙ্গে বসে খেলা। তবে অনলাইন ছাড়া একসঙ্গে চারজনের খেলার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।
চারজন মিলে খেললে একেকটি গেম শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ৩০ মিনিট। প্রতি গেমে বাজি ধরা হয় ১০০-৫০০ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ আরও বেশি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, তিনি পেশায় বেকারীর পেকেট ম্যান ছিলেন। এক সময় নিয়মিত মোবাইল ফোনে লুডু-এর মাধ্যমে জুয়া খেলতেন। খেলতে খেলতে এমন নেশা হয়েছিল যে শেষ পর্যন্ত তার চাকরিটাও হারিয়েছে। এখন তিনি বেকার।
দেখা গেছে, উপজেলার বাদমতল, নিমতল, গৈড়লার টেক, কাগজীপাড়া, কমল মুন্সির হাট, খরনা রাস্তা মাথা, এসব এলাকায় লুডু-এর মাধ্যমে জুয়ার আসর দেখা যায়, এছাড়াও পটিয়া পৌরসভা থানার মোড়, ওয়াপদা রোড়, ষ্টেশন রোড় এলাকায় সিএনজি, রিক্সা চালকদের এই জুয়ার আসরে বেশি দেখা যায়।
পটিয়া উপজেলার গৈড়লা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম চৌধুরী বলেন, এসব জুয়াড়িরা যখন সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেন তখন তারা অসামাজিক নানা প্রকার অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। তাই এ ধরনের জুয়া বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
উপজেলার আব্দুল করিম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এ জুয়ার খেলার কারণে এলাকার আমাদের কোমলমতি সন্তানেরা জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক সময় দেখা যায়, পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায় আবার পুলিশ চলে গলেই শুরু হয়ে যায় তাদের জুয়া। যখন পুলিশের অভিযান অব্যহত থাকে তখন কিছুটা কমে যায়।
বাংলাধারা/এফএস/এএ