ksrm-ads

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ksrm-ads

পতেঙ্গা সৈকতে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে রাতের আঁধারে ‘নারী শক্তি’ নামক একটি সংগঠনের মদদে অবৈধ দোকান নির্মাণের অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি— সৈকতে ব্যবসা করা প্রকৃত দোকান মালিকদের যেন জেলা প্রশাসনের পুনর্বাসন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক সমিতির ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতি মো. ওয়াহিদুল আলম মাস্টার বলেন, ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অসহায় চলমান দোকানিদের সামনে নারী শক্তির নাম ব্যবহার করে শাহনাজ, জাহিদা ও মাহবুবা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ মাসুফ করিমকে নিয়ে জবর দখল করে হুমকি ধমকি দিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে যে দোকান তৈরি করেছে তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।’

তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয়ের তালিকায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কার্ডধারী প্রকৃত দোকান মালিকদের নাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক সমবায় সমিতির মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবুল আহহ্বান জানাচ্ছি। নুর মোহাম্মদ ও তার পুত্র মাসুদ করিমের তাফালিং, চাঁদাবাজি ও নিরীহ দোকানিদের জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করার জন্য অবিলম্বে বাপ-পুত সমিতির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। বর্তমান সী-বিচের সৌন্দর্য হানির জন্য তারাই দায়ী।’

মানবনন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান, মোহাম্মদ হোসেন, মো. ইলিয়াস, মো. এনামুল হক এনাম, মো. ইখতিয়ার, সাজ্জাদ হোসেন, মো. সোলেমান, ফয়সাল, অপু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) উপকূলে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘চিটাগং সিটি আউটার রিং রোড’ নির্মাণ করেছে। সেই প্রকল্পের আওতায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে সৈকতের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয় ফুলের গাছ। তৈরি করা হয় বাগান। সেসব নষ্ট করে তৈরি করা হয়েছে দুই শতাধিক দোকান। আর প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে সেসব দোকান থেকে তোলা হয় চাঁদা।

প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হকার ক্যামেরাম্যান শ্রমজীবী সমবায় লিমিটেড’ সমিতির ব্যানারে দৈনিক দোকান ভেদে প্রতিদিন চাঁদা তোলা হয় একশ’ থেকে তিনশ’ টাকা। আর এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন ওই সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ করিম।

সম্প্রতি সৈকত পাড়ে স্থানীয় এমপির নাম ভাঙিয়ে রাতারাতি পূর্বের দোকানের সামনেই আবার নতুন করে অবৈধ দোকান গড়েছে ‘স্বাধীনতা নারী শক্তি’ নামে একটি সংগঠন। আর সেই দোকানের সামনের ব্যানারে লেখা ‘স্বাধীনতা নারী শক্তির ইফতার মেলা’। অবৈধ দোকান বাণিজ্য নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে ইতোমধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ