কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেছেন, গাছ মানুষকে সবদিক দিয়ে সমৃদ্ধ করে। নিজের তাগিদে আজকে একটি গাছ লাগালেন, পরিচর্যায় গাছটি বড় হলে- পথচারি ও নিজেকে ছায়া সুশীতল করবে। নির্দিষ্ট বছর শেষে এ গাছ আপনার দুর্দিনের বন্ধু হয়ে আর্থের সংস্থান করবে। তাই, সবার উচিত গাছ লাগিয়ে দেশ এবং নিজেকে সমৃদ্ধ করা।
‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কক্সবাজারে শুরু সাত দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা ও বৃক্ষ রোপন অভিযানের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিসি এসব কথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টম্বর) কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মেলার উদ্বোধনীতে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বৃক্ষ কিন্তু শিশুর মতোন। একটি শিশু পরিচর্যায় নিজেকে গড়ে তুলে। শুধু রোপন করলে হয় না, পরিচর্যা না পেলে গাছও বড় হয় না। সন্তানদের কাছ হতে ভালো কিছু পেতে গেলে তাদের প্রতিদিনই যত্ন নেয়া দরকার, তেমনি ভবিষ্যতে গাছ হতে উপকার পেতে গেলে পরিচর্যা করতে হবে।
পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে মেলা উপলক্ষে সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে এসে শেষ হয়।
পরে মেলা উপলক্ষে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলমের সভাপতিত্বে সহকারী বন সংরক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম ও শীতল পাল’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়ামিন হোসেন, দক্ষিণ বনবিভাগের উপ-বন সংরক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী প্রমূখ।
উদ্বোধন শেষে অতিথিগণ মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এসময় অনেকে বিভিন্ন প্রজাতির চারাও ক্রয় করেন।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সচল থাকা মেলায় কয়েক ডজন স্টল বসেছে। এসব স্টলে দেশী-বিদেশী ফলজ ও বনজ নানান চারা শোভা পাচ্ছে। সকাল ১০টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা স্থল, এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা।