বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩২ নং সেলের ভেতরে ৬ নম্বর কক্ষে পায়ের কাছে ঘুমোতে বাধ্য করায় রাগের মাথায় অমিতকে ইট দিয়ে আঘাত করে খুন করেছেন রিপন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী খুনের দায় স্বীকার করে রিপন নাথ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন,পায়ের কাছে ঘুমোতে বাধ্য করায় রাগের মাথায় অমিতকে ইট দিয়ে আঘাত করে খুন করে রিপন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিকেল তিনটায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এদিকে জবানবন্দিতে রিপন বলেন, আমি ভেবেছিলাম জ্বিন দিয়ে অমিত রাতে আমাকে মেরে ফেলবে। এ কারণে আমি তাকে আগেভাগেই মেরে ফেলেছি। জবানবন্দিতে সেলের মধ্যে ইট কোথা থেকে এসেছে তার বিষয়ে কোন তথ্য দেননি রিপন নাথ। এ খুনের ঘটনা কারো প্ররোচনায় নয়, তিনি রাগের মাথায় একাই খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে গোয়েন্দা পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে রিপন নাথকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আজিজ আহমেদ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে রিপন জানিয়েছিলেন, সেলে নেওয়ার পর রিপন ও অমিত একসঙ্গে ধূমপান করেছিলেন। অমিত তাকে তুচ্ছ কারণে গালিগালাজ করেন। বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি এমনকি জ্বীনের ভয়ও দেখান। এতে অমিতের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রিপন।
গত ২৯ মে রাত ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলার শিকার হওয়ার পর অমিতকে গুরুতর জখম অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। অমিত মুহুরী নিহতের ঘটনায় পরদিন নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ। মামলায় অমিত যে কক্ষে আহত হয়েছেন অর্থাৎ ৩২ নম্বর সেলের ৬ নম্বর কক্ষের আরেক কয়েদি রিপন নাথকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, খুন, অস্ত্র, চাঁদাবাজির অন্তত ১৬টি মামলার আসামি অমিত মুহুরী ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী ছিলেন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম