পার্বত্য জেলায় দমন-পীড়ন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে কক্সবাজারের আদিবাসী ছাত্র-জনতা। খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও রাঙ্গামাটিতে সেটলার কর্তৃক নিরীহ পাহাড়িদের ওপর হামলা, মন্দির, দোকান-পাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং যৌথবাহিনীর গুলিতে ৩ জন পাহাড়ি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করেন তারা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে পালিত হয় এ কর্মসূচি।
এ সময় বক্তারা বলেন, পাহাড়ের বাসিন্দারা জন্মের পর থেকেই সেনাশাসনের মধ্যে বড় হয়েছে। তাদের কোনো প্রকার স্বাধীনতা নেই। এমনকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা পর্যন্ত নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করা যায় না। পাহাড়ের দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। এখানকার বাসিন্দাদের বাঁচার মতো বাঁচতে দিতে হবে।
পাহাড়ের নাগরিকদের উপর নির্বিচারে গুলি, বৌদ্ধ উপাসনালয়ের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন কিছু ঘটলে, এটি নিয়ে একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এটি আর হতে দেয়া যাবে না। শান্তিপূর্ণ পাহাড়ে কারা এই খেলায় মেতেছে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয় তাদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবিও জানানো হয় কর্মসূচি থেকে। সমাবেশে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনথেন হ্লা রাখাইন, সুফল চাকমা, মং থেং হ্লা, মা টিন টিন প্রমুখ।