বিশেষ প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামে পাহাড়ে আবাসগৃহ গড়ে তুলতে সহায়তা করছে নন গর্ভমেন্ট অরগানাইজেশন(এনজিও)। বিভিন্ন এনজিও সংস্থা নিজেদের অর্থায়নে পাহাড়ে হতদরিদ্রদের সুবিধা দিচ্ছে। নিমিষেই বাস্তবায়িত হচ্ছে নানামুখী প্রকল্প। এসব সুবিধা দিতে গিয়ে চালু রেখেছে মাইক্রো ক্রেডিট। এদিকে, জেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেয়ার পর আবারও তারা ফিরে আসছে এনজিও’র অর্থায়নের কারণে। ফলে পাহাড় থেকে বসতি উচ্ছেদ বা সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও কোন পরিবর্তন নেই। ফিরে আসছে বৃষ্টি থেমে গেলেই।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন এনজিও, সিটি কর্পোরেশন, বিদ্যুত বিভাগ, ওয়াসা ও গ্যাসের সংযোগ এবং লাইন বিচ্ছিন্ন করা হলেও পুনরায় তা প্রতিস্থাপন কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এমন তথ্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের। তবে পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরিয়ে নিতে হলে বিচ্ছিন্ন করতে হবে গ্যাস বিদ্যুত ওয়াসাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা। পাহাড়ে থাকা ঝুঁকিপূর্ণদের সুবিধার্থে সিটি কর্পোরেশন যেমন টয়লেট করে দিয়েছে, তেমনি জাইকার অর্থায়নে সুপেয় পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে ব্র্যাকের অর্থায়নে ব্র্যাক প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এদিকে, হতদরিদ্র শ্রেণীকে নিয়ে বহুমুখী সমবায় সমিতিসহ বিভিন্ন ঋণদানকারী এনজিও সংস্থার কর্মীরা কাজ করছে। দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে), সুইডেন ভিত্তিক এনজিও সংস্থা ভারিজ এবং ওয়াটার এইড নামক এনজিও সংস্থা নানাভাবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সহায়তা করে আসছে। গত বছরও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন টিম নগরীর ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে প্রত্যক্ষভাবে এনজিও সংস্থার কর্মকান্ডের ওপর বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। পাহাড় কেটে যুক্তরাজ্যের বিএফআইডি ও ইউএনডিপির অর্থায়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্থাপনা নির্মাণ করারও অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণে সহায়তার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
আরো অভিযোগ রয়েছে, পরিবেশ অধিদফতরের দায়িত্বহীনতার কারণে পাহাড় কেটে বিলীন করছে ভূমিদস্যুরা। পাহাড় কাটা ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার পেছনে ভূমিদস্যুরাই অন্যতম কারন। পাহাড়ী এলাকাকে ঘিরে এনজিও সংস্থাও পিছিয়ে নেই। ফয়’স লেকের পাহাড়ে স্যানিটেশন, আকবর শাহ ঝিল এলাকাতে বিদ্যুত বিভাগের প্রি-পেইড মিটার, পাহাড় কেটে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ ও বৃহদায়তন এনজিও সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে আতঙ্ক থেকেই যাবে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর