বিনোদন ডেস্ক »
৩৬ কোটির ওপর মানুষ কাইলি জেনার এবং কিম কার্দাশিয়ানকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করে থাকেন। তবু ইনস্টাগ্রামকে আগের মতো আর পছন্দ করতে পারছেন না মার্কিন মেকআপ-মোগল কাইলি জেনার। অভিযোগ তুলে বলছেন, ছবি শেয়ারিংয়ের এই সাইটটি হারিয়েছে নিজস্বতা; দিন দিন বরং হয়ে উঠছে আরেক জনপ্রিয় মাধ্যম টিকটকের মতো।
কাইলি জেনার এবং কিম কার্দাশিয়ান, দুই বোনই ইনস্টাগ্রামে তাদের ব্র্যান্ড এবং বিভিন্ন পণ্যের প্রচার করে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইনস্টাগ্রামের নতুন ফিচার তাদের ব্যবসায়িক প্রচারের অনুকূলে নয়!
কাইলি জেনারের তাই জোর গলায় অনুরোধ, আবার যেন ফিরিয়ে আনা হয় পুরনো ইনস্টাগ্রামকে। সোমবার নিজের স্টোরিতে অন্য আরেকটি পেজের পোস্ট শেয়ার করেন কাইলি। পোস্টটিতে লেখা ছিল, ‘ইনস্টাগ্রামকে আবার আগের মতো করে তুলুন। আমি শুধু এখানে আমার বন্ধুদের সুন্দর সুন্দর ছবি দেখতে চাই।’
একই পোস্ট রি-শেয়ার করেন কাইলির বোন, আরেক বিলিয়নিয়ার মডেল-উদ্যোক্তা কিম কার্দাশিয়ান। কিমের নিজেরও ইনস্টাগ্রামে ৩২ কোটি ৬০ লাখের ওপর অনুসারী আছে। আসলে যেভাবে বিশ্বজুড়ে টিকটকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে তার প্রভাব পড়েছে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপরও। টিকটকের সাথে পাল্লা দিতে অ্যাপটির মতোই নানা ফিচার যুক্ত করতে শুরু করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী সাইটগুলো।
ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটাও তাই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে সাইটগুলোতে টিকটকের মতো স্বল্প দৈর্ঘ্যের ‘রিলস’ ভিডিও সার্ভিস নিয়ে এসেছে। কাইলি জেনার এবং কিম কার্দাশিয়ান, দুই বোনই ইনস্টাগ্রামে তাদের ব্র্যান্ড এবং বিভিন্ন পণ্যের মার্কেটিং করে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইনস্টাগ্রামের নতুন ফিচার তাদের ব্যবসায়িক প্রচারণার অনুকূলে নয়!
এর আগেও অবশ্য কাইলি সামাজিক মাধ্যমের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে এক টুইটে কাইলি জানান, স্ন্যাপচ্যাটের নতুন ধরন তার ভালো লাগছে না। পরের দিনই কোম্পানিটির বাজারে স্টক নেমে যায় ৬ শতাংশ; মার্কেট ভ্যালুতে লোকসান হয় ১৩০ কোটি ডলারের! এতো সমালোচনার পরও ইনস্টাগ্রাম থেকে পোস্টপ্রতি কাইলি এখনও কল্পনাতীত আয় করেন। মার্কেটওয়াচের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রতিটি স্পনসরড পোস্ট থেকে কাইলির আয় ছিল ১.২৭ মিলিয়ন ডলার।