ksrm-ads

২০ মে ২০২৫

ksrm-ads

আনোয়ারায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও গোলাগুলি

পুলিশ সদস্যদের মারধর করে হ্যান্ডকাপসহ আসামি ছিনতাই

আসামির

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পুলিশের হাত থেকে আটক করা এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছেন উত্তেজিত জনতা

এ সময় আসামির পরিবারের স্বজন ও তিন চারশত নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এমনকি রিজার্ভ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে পালিয়ে যান বলে খবর পাওয়া গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন। বিপরীতে উত্তেজিত জনতারাও ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছেন বলে স্থানীয়রা জানায়।

৮ জুন রাত ১১ টার দিকে আনোয়ারার টানেল মুখের ‘ভোজন বাড়ি’ রেস্টুরেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সিএমপি কর্ণফুলী থানার পুলিশ রেস্টুরেন্টটি ঘিরে রাখেন।

এর আগে রাত ১১টার পরে কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জহির হোসেন ও আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ একই সাথে টানেল মুখে অভিযানে গেছেন বলে সূত্রে জানায়।

ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা।

তিনি বলেন, ‘আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি সত্য। তবে সংঘটিত ঘটনার স্পটটি আনোয়ারা থানার অধীন। বর্তমানে আনোয়ারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।’

তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত টানেল মুখে আনোয়ারা থানার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে সেখানকার পরিবেশ থমথমে বলে জানা যায়।

জানা যায়, ছিনিয়ে নেওয়া ওই ব্যক্তির নাম মোজাম্মেল হক। তিনি যুবলীগ নেতা এবং নব নির্বাচিত আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা সার্কেল এএসপি সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘এ ধরণের খবর শোনে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। এরচেয়ে বেশি কিছু জানি না। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।’

তবে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন ও আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আরও পড়ুন