মো. সৈকত »
প্যনেল মেয়রের বিচক্ষণতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রামপুর এলাকায় করোনার প্রকোপ এখন কমে গেছে। গত কিছুদিন ধরে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে হালিশহর থানা এবং প্যানেল মেয়র ও রামপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটনের যৌথ প্রয়াসে সেই পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ১৮ এপ্রিল রামপুর ওয়ার্ড এর হালিশহর, ঈদগাহ, বড়পুকুর পাড়, বসুন্ধরা, বউ বাজার, পানির কল, নয়া বাজার, সবুজবাগ এলাকায় জনস্বার্থে উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরপর প্যানেল মেয়রের উদ্যোগে এবং হালিশহর থানার সার্বিক সহায়তায় আক্রান্ত এলাকা গুলোতে লকডাউনের বিধি-নিষেধ মেনে চলার জন্য সাধারণ জনগণকে অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি ফ্রি মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়। প্যানেল মেয়রের এইসব উদ্যোগের ফলেই ইতিমধ্যে করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করেছে এলাকায়।

পানির কল এলাকার বাসিন্দা সালাম জানান, কয়েকদিন আমাদের এইখানে হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল কিন্তু এখন তা কম। লিটন সাহেব যদি তাড়াতাড়ি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিতেন তাহলে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যেত। এজন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।

সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা জাহেদ জানান, আমাদের জীবন বাঁচানোর জন্যই প্যানেল মেয়র এইখানে সবাইকে সতর্ক করে ব্যানার লাগিয়েছেন। লকডাউনের বিধি-নিষেধ সবাইকে মানানোর জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে কঠোরতা দেখিয়েছেন। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করছেন।
প্যানেল মেয়র লিটন বলেন, গত বছরের মার্চ থেকে মানুষকে করোনার থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ফলে আমাদের এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল না বললেই চলে। তবে গত ১৮ এপ্রিল থেকেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এলাকার জনগণকে সচেতন করার জন্য ব্যানার লাগিয়েছি। আবারো ফ্রি হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ মাস্ক দিচ্ছি। সবাই যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করে সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আমার এইসব পদক্ষেপের কারণে এবং মানুষ আরও সচেতন হওয়ায় করোনার প্রকোপ কমে এসেছে। এলাকার মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ কারণ তারা আমার কথা শুনেছে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে সর্বশেষ গত এক সপ্তাহে করোনায় মারা যায় ৪১ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২৩৩৬ জন। চট্টগ্রামে করোনায় সর্বমোট মারা গেছে মোট ৪৮৬ জন; এর মধ্যে ৩৬২ জন নগরের ও ১২৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। আর করোনায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৭১৬ জন। এর মধ্যে ৩৯ হাজার ১০০ জন নগরের ও ৯ হাজার ৬১৬ জন উপজেলা পর্যায়ের বাসিন্দা।
বাংলাধারা/এফএস/এআর