৮ জুলাই ২০২৫

প্রতিবেশী দেশগুলো সন্ত্রাসীদের স্থান দেবে না এবং দিচ্ছেও না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চোরাচালান, সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে আমাদের দেশে যেরকম স্থান দেই না, আশা করি প্রতিবেশী দেশগুলোও এসব সংগঠনকে তাদের দেশে স্থান দেবে না এবং দিচ্ছেও না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের মাল্টিপারপাস শেডে বাহিনীটির ২০২০ সালের বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের চমৎকার একটি সম্পর্ক রয়েছে। আমরা মনে করি তাদের যেভাবে আমরা সহযোগিতা করি তারাও আমাদের সেভাবে সহযোগিতা করে। বিশেষ করে চোরাচালান, সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে আমাদের দেশে যেরকম স্থান দেই না,  আশা করি প্রতিবেশী দেশগুলোও এসব সংগঠনকে তাদের দেশে স্থান দেবে না এবং দিচ্ছেও না। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এক সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এবং সামনেও কাজ করবে।’

এর আগে ২৫ ডিসেম্বর ভারতের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলনে মিজোরাম রাজ্যের অভ্যন্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানা থাকার ঘটনায় উদ্বেগ জানায় বিজিবি। এই আস্তানাগুলো ধ্বংস করার জন্যও ভারতের কাছে অনুরোধ জানান বিজিবি মহাপরিচালক। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এসব বন্ধ করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছি। এছাড়া আমরা বর্ডার রোড নির্মাণে জোর দিয়েছি। বর্ডার রোডে হয়ে গেলে এসব সমস্যা আর হবে না।’

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিএসএফ প্রতিবার আমাদের কিছু এরকম লোকেশন দেয়। আমরা সেখানে অপারেশন পরিচালনা করি। কিন্তু আদতে সেখানে কিছুই পাই না। সেটাও আমরা বিএসএফকে জানিয়েছি, বলেছি যে তোমরা আমাদের যে লিস্টগুলো দিয়েছো সেগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছি, সেখানে আমরা এরকম কোনও ক্যাম্প খুঁজে পাইনি।’

বাংলাধারা/এফএস/এইচএফ

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ