বাংলাদেশের ক্রান্তিকালেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পোর্ট অ্যান্ড শিপিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমীন।
তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ-বিপ্লবে নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা, শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ এবং আন্দোলনে যারা আহত এবং পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
নতুন বাংলাদেশের সূচনা লগ্নে তিনি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই নতুন সরকারের কাছে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরকে সচল ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার জটের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউএস কন্টেইনার এবং ঢাকা কমলাপুর আইসিটি গ্রামীণ কন্টেইনার সংখ্যা ২ হাজার ২৯৯ টিইইউএস কন্টেইনার বন্দরের ইয়ার্ডে রক্ষিত আছে। যার কারণে আমদানি পূর্ণ ডেলিভারি কমেছে সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাহত হলে আমদানি খরচ বেড়ে যাবে এবং ব্যাহত হবে পণ্য রপ্তানি।
‘এছাড়া বন্দরে জাহাজে পণ্য উঠানামার কাজে বিঘ্ন ঘটছে এবং জাহাজ জটের সৃষ্টি হচ্ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচা মাল ও নিত্যপ্রয়োজনীসহ বিভিন্ন আমদানি পন্যের সরবরাহ, বিঘ্নত হচ্ছে সপ্লাই চেইন ব্যবস্থা।’
এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অতিসত্তর গতিশীল করা উচিত। এজন্য এনবিআর, কাস্টম কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীদের সহায়তা জরুরি। চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ ও আমরা টার্মিনাল অপারেটর বার্থ অপারেটররা প্রস্তুত আছি আমদানি পণ্য ডেলিভারি দেয়ার জন্য এবং রপ্তানি পণ্য জাহজিকরণের জন্য। সকলের প্রচেষ্টায় আমরা পারি সংকটকালে এই দেশকে তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলছে এবং সুন্দর ও সমৃদ্ধরূপে দেশকে তৈরি করতে।