বাংলাধারা ডেস্ক »
খালি চোখে দেখলে এটা কেবলই একটা হার। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১ রানে হেরেছে ভারত। ভারত হারতেই পারে। তবে ভারতের এই হারেই উঠেছে নানা প্রশ্ন। আপাতত যার কোনো জবাব নেই কারো কাছেই। দায়িত্বশীলদ ব্যাক্তিদের কৈফিয়তটাও মনের মতো হচ্ছে না খোদ ভারতবাসীর কাছেই।
আসুন প্রথমেই কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করা যাক-
-শেষ ৫ ওভারে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কেদার যাদব নিলেন মাত্র ৩৯ রান। জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭১ রান। জয়ের জন্য চেষ্টা না করে কেন এই শম্ভুক গতির ব্যাটিং?
-শেষ ৫ ওভারে ছ্ক্কা একটি। চার এসেছে কেবল মাত্র তিনটি?
-হার্দিক পান্ডিয়া ফেরার পরে কী কারণে ৪৫ নম্বর ওভার থেকেই হঠাৎই সিঙ্গলস নেওয়ার রাস্তায় চলে গেলেন ধোনি আর কেদার যাদব?
-হার্দিক ও ঋষব পান্ট আউট হওয়ার পরে বিনা লড়াইয়ে কেন আত্মসমর্পণ করলেন ধোনি-কেদার?
-এজবাস্টনের ছোট মাঠে ইংল্যান্ড গুণে গুণে ১৩ ছক্কা হাঁকালো, সেখানে ভারতের ছক্কা মাত্র একটা! সেটাও ইনিংসের শেষ ওভারে!
-এই কি সেই ধোনি, যাকে ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ফিনিশার মনে করা হয়?
এই রকম আরো অনেক প্রশ্ন আছে ক্রিকেট সমর্থকদের মনে। কে দেবে তার উত্তর, জানা নেই। ইংল্যান্ডের কাছে ভারতের এমন পরাজয়ে ক্রিকেটীয় চেতনা নষ্ট হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে। অনেকে তো ম্যাচ পাতানোর অভিযোগও তুলছেন। দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররাই ভারতের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বাদ দিন, আসুন ম্যাচের দিকে চোখ ফেরানো যাক। ধোনি ও কেদার যাদবরা যখন এক এক রান নিচ্ছিলেন গ্যালারি থেকে ভেসে আসছিল,‘হায় হায়!’ এমন নয় যে, অনেক বড় ব্যবধানে হেরেছে বিরাট কোহলির দল। ব্যবধানটা মাত্র ৩১ রানের। আর সে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে অনেক।
ইংল্যান্ডের পেসারদের দাপটে প্রথম ২০ ওভারে ভারত তুলল ৮৩ রান। ফিরে গেছেন লোকেশ রাহুল। উইকেট ধরে খেললে ম্যাচটা জিতত ভারতই। কারণ রোহিত ও বিরাট তখন দারুণভাবে সেট। কোহলি যখন ফেরেন, ২৯ ওভারে ভারত ১৪৬-২।
ঋশব পান্টকে নিয়ে এগুচ্ছিলেন রোহিত। পরের ৮ ওভারে এলো ৫২ রান। রোহিত ফেরার পরের তিন ওভারে এলো আরো ২৮ রান। পান্ডিয়া-পান্ট জুটিতে আসলো ৩৪ বলে ৪১ রান। শেষ ৫ ওভারে দরকার ৭১! নাটকটা শুরু এখানেই। ধোনি হাত খুললে ৭১ রান কি খুব একটা দূরে পথ? আবার প্রশ্নের শুরু!
বাংলাধারা/এফএস/এমআর