ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ১নং বাগানবাজার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামে স্বামীর দেয়া কেরোসিনের আগুনে দগ্ধ হয়ে অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ২কন্যার জননী ফাতেমা বেগম (২৩)।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফাতেমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
নিহত গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার (২৩) একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে। অপরদিকে ফাতেমার স্বামী ঘাতক ইমাম হোসেন (৩০) মোহাম্মপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
জানা যায়, গত ১৩ মার্চ রবিবার রাত ২টার দিকে মাদকাসক্ত স্বামী ইমাম হোসেনের দেরিতে বাড়ি ফেরা নিয়ে তার স্ত্রী ফাতেমার সাথে কথা কাটাকাটি হয় । এতে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে একপর্যায়ে ঘরে থাকা কেরোসিন ফাতেমার শরীরে ঢেলে গ্যাস লাইট দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় ঘাতক স্বামী ইমান। এতে ফাতেমার শরীরের মুখমন্ডলসহ প্রায় ৭৫ শতাংশ অঙ্গ পুড়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরবর্তীতে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ভূজপুর থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। ফাতেমার ২ কন্যা সন্তানের প্রস্রব হওয়ার কারণে শশুর বাড়ির লোকজন কটুক্তি করতো প্রায় সময়। বেশ কয়েকবার স্থানীয় সালিশীর মাধ্যমে তাদের মিলমিশ করে দেয়া হয়। এরপরেও স্বামীর নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
এদিকে ঘাতক ইমাম হোসেন ও তার পিতা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ভূজপুর থানায় এজাহার দায়ের করেছে অগ্নিদগ্ধ ফাতেমার বাবা মোঃ আব্দুল গফুর। ঘাতক ইমাম হোসেন ও তার পিতা আবুল কাশেমকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে ভূজপুর থানা পুলিশ। ফাতেমা মৃত্যূবরন করায় থানায় দায়েরকৃত মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে বলে।
বাংলাধারা/এপএস/এআই