বাংলাধারা প্রতিবেদন »
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি, বাঁধ, সড়ক ও কৃষিক্ষেত্রে প্রায় ৫৩৬ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণের জ্যেষ্ঠ সচিব শাহ কামাল ক্ষয়-ক্ষতির এই তথ্য দেন।
সচিব জানান, ফণীর কারণে ৭৮ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকার ঘরবাড়ি, ২৫১ কোটি টাকার বাঁধ, মাছে ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, ৫ কোটি টাকার আমের বাগান এবং কৃষিতে ৩৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে অন্যান্য ক্ষতি ছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগের ২৪১ কিলোমিটার রাস্তা নষ্ট হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ রাস্তা মেরামতে ১৬১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে জানান ত্রাণ সচিব।
সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণসহ পুনর্বাসনের পরিকল্পনা তৈরি করে বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
ফণীর তাণ্ডবে বরগুনায় দুই জন এবং ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে একজন করে মোট পাঁচজন নিহত এবং ৬৩ জন আহত হয়েছেন বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
সভায় ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফণীর কারণে ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া নেত্রকোণায় হাওরের যে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তা মেরামত করেছে।
ফণীর প্রস্ততি নিয়ে এনামুর বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে যেসব চাষী পরিশোধ করতে পারেননি, তাদের বিরুদ্ধে যেন মামলা করা না হয়, সেজন্য অর্থ বিভাগকে বলা হয়েছে। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সেই সুপারিশ করবে।
সভায় কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ছাড়াও কয়েকজন সচিব এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম/বি