বাংলাধারা প্রতিবেদন »
রমজান মাসে ইফতারে ফলকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন রোজাদাররা। তাই এ মাসে রসালো পলের চাহিদা একটু বাড়তিই থাকে। আর এই বাড়তি চাহিদার সুযোগে বাজারে বেড়েছে সব রকম ফলের দাম। কোনো কোনো ফলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে কয়েক দিনের ব্যবধানে। রমজানের শুরুতেই গত সপ্তাহের চেয়ে দেশি-বিদেশি সব ফলের দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। কিছু ফলের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে এত বেশি দাম বৃদ্ধিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
নগরীর লালখান বাজারে একটি ফলের দোকান থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে নাশপাতি কিনেছেন ইসহাক মিয়া। তিনি বাংলাধারাকে বলেন, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে এই নাশপাতি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে আপেলের দাম। সপ্তাহ দুয়েক আগে আপেল কেজি প্রতি ১৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কলার দামেও রয়েছে বড় ধরনের ব্যবধান। সবরি কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, আর ছোট চাঁপা কলার হালিতে রাখা হচ্ছে ২৫ টাকা। রোজার আগে এসব কলা অর্ধেক দামেই বিক্রি হয়েছে।

ছোট আকারের আনারস প্রতিটি কিনতে লেগেছে ৪০ টাকা করে, যেখানে বছরের অন্যান্য সময় তা ২০-২৫ টাকায় পাওয়া যায়। তরমুজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। ছোট আঙ্গুরের কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, আর বড় লাল আঙ্গুর কেজিতে রাখা হচ্ছে ৪৫০-৪৬০ টাকা। পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। গোপালভোগ আম ২৮০ টাকায়, লাল আপেল ১৮০ টাকা, সবুজ আপেল ২০০ টাকা, পেঁপে ১৮০ টাকা, বেদানা ৩০০ টাকা, বাঙ্গি ১২০ টাকা, বরই খেজুর ৩২০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ১ হাজার টাকা, ইউসুফ মরিয়ম ৮০০ টাকা, ডেড ক্রাউন খেজুর ২৮০ টাকা, বারাবি খেজুর ৫৬০ টাকা ও চেরি ৪০০ টাকায় কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।
রিয়াজউদ্দীন বাজারে রোজায় প্রয়োজনীয় ফল কিনতে এসেছিলেন সাইফুল হোসেন। তিনি বলেন, এমন কোনো ফল নেই যার দাম বাড়েনি।
কর্ণফুলী বাজারে ফল বিক্রেতা রফিক বলেন, তীব্র গরমে রোজায় ফলের চাহিদা বাড়ায় এর দাম বেড়েছে। বেড়েছে কলার দামও, কোথাও কোথাও কলা পাওয়া যাচ্ছে না, কলার সরবরাহ কম। তাই আমরাও বেশি দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম/বি