নির্বাচনের পর নানা সংকটময় সময় দেখছে পাকিস্তন। তবে সেগুলো পেছনে ফেলে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। শুক্রবার দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে শপথ নিয়েছেন নবনির্বাচিত এমপিরা। এমন অবস্থার মধ্যে এবার ফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।
শুক্রবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে পিটিআই এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন জমা দিয়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) এ চিঠি লেখার কথা জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খবর ডনের
সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনে পিটিআই দাবি করেছে, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মোট ১৮০ আসনে জয়ী হয়েছে পিটিআই। কিন্তু কারচুপি ও কারসাজির মাধ্যমে মাত্র ৯২ আসনে পিটিআই প্রার্থীদের জয়ী দেখানো হয়েছে। দলটিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে এই ‘ডাকাতি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে পিটিশনে।
সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশন জমা দেওয়ার তথ্যটি শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন পিটিআইয়ের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা শের আফজাল মারওয়াত। তিনি আরও জানিয়েছেন, পিটিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রথম, পিএমএল-এন দ্বিতীয় ও পিপিপি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। তবে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
এ অবস্থায় পাকিস্তানের নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পদ দুটির মনোনয়ন নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছে মুসলিম লীগ-নওয়াজ ও পিপলস্ পার্টি। এর ফলে আসিফ আলি জারদারিকে রাষ্ট্রপতি এবং শেহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতে যাচ্ছে দেশটি।
এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে কার্যত সরকার গঠনের সম্ভাবনা পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে পিটিআইয়ের। সন্তোষজনক কাজ করতে না পারায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছে ব্যারিস্টার গহর আলি খানকে।
পাকিস্তানের কারান্তরীণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের পরবর্তী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ব্যারিস্টার আলি জাফরের নাম ঘোষণা করার একদিন পর, গহরকে সরানোর এ ঘোষণা এল। আগামী ৩ মার্চ পিটিআইয়ের অন্তর্দলীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ডনের খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খান আইএমএফকে চিঠি দেওয়ার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছেন। কারাবন্দী পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান, আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নিশ্চিত করেছেন যে তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে চিঠি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
তিনি বলেন, পিটিআই কথিত কারচুপির বিরুদ্ধে আইএমএফকে চিঠি দেবে। আমরা তাদেরকে জানাব যে কারচুপির নির্বাচনের কারণে, বিনিয়োগকারীরা সরকারকে বিশ্বাস করবে না এবং পিটিআই কারচুপির তদন্ত চাইছে।
তিনি মনে করেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নতুন ঋণ আরো দারিদ্র্য আনবে। বিনিয়োগ ছাড়া ঋণ চাওয়া দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে।