ksrm-ads

২১ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

ফসলে পোঁকা দমনে জমিতে আলোক ফাঁদ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি »

সীতাকুণ্ডে ফসলে ক্ষতিকারক পোঁকা দমনে উপজেলায় ২৮টি ব্লকে ২৮০টি আলোক ফাঁদ স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বর্তমানে ভাটিয়ারীসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২১টি ব্লকে এ আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে সুফল পাবেন উপজেলার ১৯হাজারের ও বেশি কৃষি পরিবার।

এদিকে, আলোক ফাঁদ স্থপনের মাধ্যমে পোঁকা সনাক্ত করনে মাঠে নেমেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় ভাটিয়ারী জাহানাবাদ ব্লকের খাদেম পাড়া এলাকায়ও আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে।

এখানে দায়ীত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিরিন আকতার বলেন, ‘ফসলে পোঁকা দমনে আলোক ফাঁদ স্থাপনে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সারা পাওয়া গেছে। আর ক্ষতিকারক পোঁকাগুলো আলোক ফাঁদে আটকা পড়ছে। তাই সন্ধ্যার পর কৃষদের সাথে নিয়ে পোঁকা সনাক্ত করন এবং পোঁকা মাকড় দমনের কাজে বের হতে হয় আমাদের।’

এদিকে, স্থানীয় কৃষক মো. সাহাবুদ্দীন, মো. সোহাগ, মো. বাদশাহ মিয়া, মো. শিমুলসহ অনেকে জানান, আলোক ফাঁদ স্থাপনে আমরা সদ্য রোপন করা আমন ধানে ও সবজিতে পোঁকা দমনে অনেক উপকার পাচ্ছি। আগে সবজিতে পোঁকা দমনে কীটনাশক ব্যবহার করতে হতো। এখন আর জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়না। সন্ধ্যার পর আলোক ফাঁদে আটকা পড়ছে অসংখ্য ক্ষতিকারক পোঁকা মাকড়।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রতন কান্তি দত্ত ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্রনাথ বলেন, ‘আলোক ফাঁদ স্থাপনে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহের সঞ্চার হয়েছে। অধিকাংশ পোকাই আলোর প্রতি সংবেদনশীল। সন্ধ্যা বেলায় আলোর ফাঁদ স্থাপন করলে আলোতে ক্ষতিকারক এবং উপকারী পোকা মাকড় আলোক ফাঁদে আসে তখন আলোক ফাঁদ স্থাপনকৃত মাঠের পোঁকার উপস্থিতি নির্ণয়ের মাধ্যমে পোকা দমন ব্যবস্থা নেওয়া যায়। উপজেলাতে আলোক ফাঁদ ব্যাপক ভাবে স্থাপনের কাজ চলছে।’

এদিকে, সীতাকুণ্ড উপজেলা অতিরিক্ত দায়ীত্বে থাকা কৃষি অফিসার রঘুনাথ নাহা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন সার্বক্ষণিক সন্ধ্যা বেলায় মাঠে আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে পোঁকা সনাক্তকরণ এবং পোঁকা দমনের কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে উপজেলার পোঁকা আক্রমন প্রবন মাঠগুলো চিহ্নিত করে আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে পোঁকার উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।’

‘তাছাড়া এমন কিছু পোকা আছে যেমন বাদামী গাছ ফড়িং আলোর প্রতি সংবেদনশীল তাই আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে এ পোঁকার উপস্থিতি নির্ণয় এবং ব্যবস্থার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পোঁকা দমন করে ফসল রক্ষা করা সম্ভব। তাই কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কৃষক পরিবারকে আলোক ফাঁদ স্থাপনের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।’

তিনি আরও জানান, প্রতিটি ব্লকে ১০টি করে মোট ২৮টি ব্লকে আলোক ফাঁদ স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। তার মধ্যে বর্তমানে ২১টি ব্লকে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। সে হিসেবে আলোক ফাঁদ স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮০টি।

বাংলাধারা/এফএস/এএ

আরও পড়ুন