বাংলাধারা ডেস্ক »
নরসিংদীর বীরপুরে ফুপাতো ভাইয়ের দেওয়া আগুনে দগ্ধ কলেজছাত্রী ফুলন রানী বর্মণ (২২) ঢাকা মেডিকেলের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বুধবার (২৬ জুন) ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে সকাল ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফুলনের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার বলেন, সকালে ফুলনের বাবা যুগেন্দ্র ফোন করে আমাদের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আমরা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো।
ফুলনের বাবা যুগেন্ধ বর্মন বলেন, চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন আগুনে ফুলনের শরীরের ২১ শতাংশ পুড়ে যায় এবং মুখে কেরোসিন ঢালার কারণে ফুলনের শ্বাসনালীতে সমস্যা ছিল। এতে তার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এজন্য গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ফুলনের অপারেশন করা হয়। এরপর থেকে ফুলন ভালোই ছিল। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার (২৫ জুন) ফুলনের বমি ও শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিলো। পরে ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ভোরে তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গত ১৩ জুন রাতে হাতমুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ফুলনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারই ফুফাতো ভাই ভবতোষ এবং তার দুই বন্ধু আনন্দ ও রাজু। পরে তাকে রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ফুলনের বাবা যোগেন্দ্র বর্মণ নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা করেন। পরে ডিবি পুলিশের অভিযানে জিজ্ঞাসাবাদে চারজনকে আটক করা হয়। আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে শুক্রবার (২১ জুন) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এ ঘটনায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্যদের হাতে গ্রেফতার ভবতোষের বন্ধু রাজু সুত্রধর।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি