বাংলাধারা প্রতিবেদন »
খুব দীর্ঘ নয় মুস্তাফিজুর রহমানের ক্যারিয়ার। ২০১৫ বিশ্বকাপের পরে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে তারার মতো আর্বিভাব তার। এই চার বছরে অনেক বিস্ময় উপহার দিয়েছেন তিনি। আবার ইনজুরির কারণে হাহাকার হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তদের। আগের মতো সেই ফিজকে যে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবার পাওয়া গেল পুরনো ফিজকে। তার তোপে বড় সংগ্রহের দিকে ছুঁটতে থাকা ভারত ৩১৪ রানে থামে।
মুস্তাফিজ ভারতের বিপক্ষে এ ম্যাচে ১০ ওভার বোলিং করে ৫৯ রানে নেন ৫ উইকেট। বিশ্বকাপে মুস্তাফিজের প্রথম পাঁচ উইকেট তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর ক্যারিয়ারে এটা ফিজের চতুর্থ পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। এর মধ্যে বাঁ-হাতি পেসার তিনবার ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নেওয়ার গৌরব অর্জন করলেন।
২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। পরের ম্যাচে ছিলেন আরও বিধ্বংসী। তার স্লোয়ার-কাটার, স্টোক বলের সঙ্গে পেসে বিভ্রান্ত হয়ে ৪৩ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। মুস্তাফিজ বীরত্বে প্রথমবার ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। ওই বছরই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৫০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। মাঝে মধ্যে অবশ্য সেই ফিজকে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু ফিজ তার বোলিং দিয়ে মন ভরাতে পারছিলেন না।
যেমন ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৩ রানে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। বিশ্বকাপের আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩ রানে আবার ৪ উইকেট নেন ফিজ। তখনই ‘কথা দেন’ বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট নিয়ে দেখাবেন। মুস্তাফিজ সেই কথা রাখলেন। ভারতের বিপক্ষে তুলে নিলেন পাঁচ উইকেট।
প্রথমে বিরাট কোহলিকে ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। কাটারে বোকা বানিয়ে হার্ডিক পান্ডিয়াকে স্লিপে ক্যাচ বানান। মধ্যে দিনেশ কার্তিককে আউট করে। শেষ ওভারে ধোনিকে চাপে ফেলে তুলে নেন ফিজ। মোহাম্মদ শামিকে বোল্ড করে পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেট।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম