বাংলাধারা প্রতিবেদন »
কেউ নিয়ে এসেছে নিজের সংগ্রহে থাকা আহমদ ছফার গাভী বিত্তান্ত কিংবা হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ চরিত্র হিমু সমগ্র। কেউ নিজের পড়া বইটি দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জহির রায়হানের শেষ বিকেলের মেয়ে কিংবা রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা।
বলছিলাম এমনই এক উৎসবের কথা যে উৎসবে পুরো একটি দিন নিজেদের পড়া বইগুলো বিনিময় হয়েছে অন্য কোন পাঠকের সাথে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রামের জামালাখান মোড়ে সম্পন্ন হলো এমনই ব্যতিক্রমী এক আয়োজন ‘বই বিনিময় উৎসব’। সকাল ১১ টায় শুরু হয়ে রাত ৮টায় শেষ হয় এই উৎসব।
বই পড়ুয়াদের সংগঠন ফেইলড ক্যামেরা স্টোরিজের উন্মুক্ত এ আয়োজনে একাত্ম হয়ে বিভিন্ন বয়সী বইপ্রেমী মানুষ তাদের পছন্দের বই বিনিময় করেন।

আয়োজকরা জানান, মোবাইলের যুগে মানুষকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতেই এই বই উৎসব। যে কেউ একটি বই দিয়ে নিজের পছন্দের একটি বই নেওয়ার সুযোগ ছিল এই উৎসবে। বই বিনিময়ের মাধ্যমে আসলে জ্ঞান-প্রজ্ঞার বিনিময় হয়। মূলত এটি ‘বই নয়, জ্ঞানের বিনিময়’। বইয়ে যে আলো থাকে, তা বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই আনন্দ। সে আনন্দ উপভোগ করতেই এই আয়োজন।

আয়োজকরা বলেন, আমরা ৫০০০ বইয়ের বিনিময় টার্গেট নিয়ে এই উৎসব সফল করতে চেয়েছিলাম। আর সেজন্য প্রয়োজন ছিলো সকল বই প্রেমীর স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ। দিন শেষে মনেহচ্ছে আমরা সফল। আমরা চেয়েছিলাম বই নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হোক, লেখক পাঠকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ছড়িয়ে পড়ুক বইয়ের কথা।

বই বিনিময় উৎসবে আসা রুবিনা আক্তার বলেন, যান্ত্রিক এই শহরে অনেক উৎসবের আয়োজন হলেও হয়না বই বিনিময় উৎসব। হয়না বই নিয়ে মাতামাতি। চায়ের কাপে এখন আর বই নিয়ে ঝড় উঠে না পাড়ার একমাত্র চায়ের দোকানটিতে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায়। আজ এই উৎসব দেখে খুবই ভালো লাগছে। এমন আয়োজন আরও বেশি বেশি হোক।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, যে কোন ধরনের বই এখানে বিনিময় করা যাবে। থাকবে সব ক্যাটারির বই। তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বই উৎসবে রাখা হয়েছিল গল্প, উপন্যাস, মনীষীদের জীবনী, কবিতা, সায়েন্স ফিকশন, ভ্রমণকাহিনী, মোটিভেশনাল, ইংরেজি নোভেল এবং আরও অনেক অনেক ক্যাটাগরির বই।
বাংলাধারা/এফএস/এআর