ksrm-ads

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ksrm-ads

বকেয়া পাওনা নিয়ে চরম বেকায়দায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা যেকোনো সাধারণ পণ্য ৩০ দিন এবং পঁচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে ছাড় করার বিধান রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমদানি পণ্য ছাড় না হলেও নিলামে বিক্রির জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর নিলামে বিক্রি হওয়া পণ্যে এফসিএল কন্টেইনারে ২০ শতাংশ এবং এলসিএল পণ্যে ১৫ শতাংশ হিস্যা পায় বন্দর।

চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনারের কাছে বন্দরের পক্ষ থেকে দেয়া ৫৯ নম্বর চিঠিতে ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে এই হিস্যা দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বছরের পর বছর হিস্যার ১৪২ কোটি ৭২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে থাকায় সরকারি অডিট টিম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি উত্থাপন করেছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, যে পণ্যগুলো নিলামে বিক্রি হয়, সেখান থেকে একটা অংশ আমরা পাই। সেটার হিসাব করতে করতে এখন আমরা ১৪০ কোটি টাকার মতো পাওনা হয়েছি।

মাঝে মাঝে কিছু পণ্য বোঝাই কন্টেইনার ই-অকশন এবং ফল-আদা-খেজুর এবং জুসের মতো বাকি পঁচনশীল পণ্যগুলো হাতুড়ি পিটিয়ে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে হিস্যা জটিলতা কাটিয়ে বন্দরের পাওনা পরিশোধের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

এখনো ১০ হাজারের বেশি পণ্য বোঝাই কন্টেইনার নিলামের অপেক্ষায় থাকলেও মামলাসহ নানামুখী জটিলতায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ নিলামে গতি আনতে পারছে না বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ